যশোরের চৌগাছায় পুকুর পাড় হতে লাশ উদ্ধার

মেহেদী হাসান শিপলু – স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর)

যশোরের চৌগাছায় একটি পুকুরের পানির ধার হতে বকুল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়েছে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠিয়েছেন। কি কারনে মৃত্যু তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। ঘটনাস্থল পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।
থানা ও স্বজনদের সূত্র জানিয়েছেন, বকুল হোসেন পেশায় কৃষক হলেও প্রায় এক যুগ মালায়েশিয়া ছিলো। প্রায় দুই বছর সে বাড়িতে এসেছে। সোমবার রাতে সে স্ত্রী সন্তানদের বলে আমি মাছ ধরতে যাচ্ছি। এ কথা বলে বাড়ি হতে বের হয়ে আর ফেরেনি। স্বজনরা রাতে অনেক খোঁজাখুজি করে তবে কোথাও সন্ধান পাইনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাকে খুজতে বের হয় স্বজনরা। একপর্যায়ে মশ্মমপুর মোড়ের অদুরে বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের খোকন বিশ্বাসের ছেলে শিমুলের পুকুর পাড়ে বকুলের মরাদেহ দেখতে পাই নিহতের ছেলে জীবন হোসেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে চৌগাছা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মরাদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোরের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের ছোট ভাই বিপুল হোসেন জানান, রাতে সে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় এবং সারা রাতই নিখোঁজ ছিলো। বিকেল চারটার দিকে এই পুকুরের পানির ধারে মরাদেহ তার ছেলে জীবন দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
নিহত বকুল হোসেনের ছেলে জীবন হোসেন বলেন, আমার পিতার মাছ ধরার খুুবই নেশা ছিলো। বাড়ির অদুরে বাওড়, ওই বাওড়ে সে সুযোগ পেলেই মাছ ধরতো। সোমবার রাতে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি হতে বের হয় আর ফেরেনি। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে এই পুকুর পড়ে তার মরাদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আমার ধারনা মাছ ধরার সময় পুকুরের বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে তার মৃত্যু হছে।
স্থানীয়রা জানান, পুকুর মালিক শিমুল হোসেন চোর ও শিয়ালের উপদ্রপ হতে মাছ রক্ষায় গোটা পুকুরে পানির উপরে বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে রেখেছে। অনেকের ধারনা নিহত বকুল হোসেন ওই পুকুরে মাছ ধরতে যেয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে। লাশ উদ্ধারের কিছু দুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একটি শিয়ালও মারা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রæত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের স্ত্রী ও ছেলের ভাষ্যমতে সে মাছ ধরতে যেয়ে ওই পুকুরের বিদুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে। তবে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যু না অন্য কোন কারণ আছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যু রহস্য বের হয়ে আসবে।
ঘটনাস্থল যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবিব পরিদর্শন করেছেন।