বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় অভিযুক্ত বোরহান প্রকাশ্যে

বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যাচেষ্টা, নাশকতাসহ বিভিন্ন ঘটনার মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের অনেকে এক বছরের ধরে গ্রেপ্তার হয়নি। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে জনমনে, অনেকে বলছেন হামলাকারীদের অনেককে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণে প্রকাশ্যে দেখেছেন।
তবে পুলিশের ভাষ্য, ছাত্র আন্দোলনে হামলা, নাশকতা, হত্যাচেষ্টা, অস্ত্র সরবরাহসহ নানা অভিযোগে দায়ের মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম মেট্র্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এরই মধ্যে পুলিশের কাছে সংরক্ষিত ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে শনাক্ত করে অনেককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন থানার এজাহারনামীয় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছেন। নিউমার্কেটে ছাত্র আন্দোলনে হামলা সাথে জড়িত অস্ত্র সরবরাহকারী মো: বোরহানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করছেন কোতোয়ালি থানার মামলার এজাহারনামীয় ১৫নং আসামি এই বোরহান।অনেকে বলছেন প্রকাশ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তিনি।এদিকে তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি,মারধর,দখলবাজীসহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে। কিছুদিন আগে নতুন ব্রিজ(কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু) সংলগ্ন বশিরুজ্জামান চত্বরে ১৭নং অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে চালক ও শ্রমিকরা বোরহানের চাঁদাবাজি বন্ধ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম) রইছ উদ্দিন বলেন,সবাইকে যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তা নয়। এজাহারনামীয় আসামি না হলেও ঘটনার তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরও আটক করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর। বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি বা মামলার তদন্তে জড়িতরা গ্রেপ্তার হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো:বোরহনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নগর পুলিশের তথ্যমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সিএমপির থানাগুলোতে ৫৪টি মামলা রুজু হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় মামলার সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত ৬০০-এর বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মুরাদপুর, বহদ্দারহাটে ছাত্র আন্দোলনের ওপর অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করা যুবলীগ ক্যাডারও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এখনো সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ অভিযান ও ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।