কোনো ভিন্ন ধর্মী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হওয়া উচিত না, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

প্রসেন সরকার (ঢাকা ক্যানভাস) প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর মাননীয় মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ওনার ভেরিফাই ফেইসবুক ওয়ালে এমনই এক মন্তব্য প্রেশ করেন। ওনার পোস্ট থেকে বিস্তারিত :
কোন মুসলিম হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হওয়া উচিৎ না। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হওয়া উচিৎ প্রণব মঠ এর কোন সন্যাসীর। কারণ তারাই হিন্দু জাতির ঐক্য করার চেষ্টা করেছেন। অন্যরা বিভিন্ন শাখা তৈরি করেছেন। প্রণব মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজ বলেছেন ” আমি সকল হিন্দুকে ‘আমি হিন্দু, আমি হিন্দু, আমি হিন্দু’ – জপ করাবো ।. .. হিন্দু কখনো হিন্দুর নিকট অস্পৃশ্য হইতে পারে না। হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন ও ঐক্যের মধ্য দিয়াই হিন্দু জাতি অসীম শক্তির অধিকারী হইবে। হিন্দুর বিদ্যা আছে বুদ্ধি আছে, প্রতিপত্তি আছে, নেই শুধু মিলন ও ঐক্য। হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন যত দ্রুত সম্ভব, হিন্দু মুসলমান বা হিন্দু খ্রীষ্টানে মিলন তত দ্রুত সম্ভব নয়। আমি প্রতিটি হিন্দুকে ‘আমি হিন্দু আমি হিন্দু’ বলিয়া জপ করাই। আর তার জন্যই প্রয়োজন এক ক্ষেত্র। মিলন মন্দিরের জাল ফেলিয়া সকল শ্রেণীর হিন্দু নরনারীকে একত্রিত করিতে হইবে। তবেই হিন্দু জাতি আবার শক্তিশালী হইতে পারিবে।“- যুগাবতার শ্রীভগবান শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ।
ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া উচিৎ বর্তমান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম প্রচারক গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারী, আর ট্রাস্টি হওয়া উচিৎ প্রণব মঠ থেকে ২ জন, ইসকন থেকে ২ জন, রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ২ জন, মতুয়া সমাজ থেকে ২ জন, সৎ সংঘ থেকে ২ জন, জগবন্ধু মঠ থেকে ১ জন, মাধ্ব গৌড়ীয় মঠ থেকে ১ জন, বৈদিক সমাজ থেকে ১ জন, শ্রী গুরু সংঘ থেকে ১ জন, লোকনাথ মন্দির থেকে ১ জন, কীর্তনীয়া সমাজ থেকে ১ জন, ঐতিহ্যবাহী গুরুরপরম্পরা থেকে ১ জন, গীতা সহ ধর্ম শাস্ত্র গ্রন্থ প্রচারকদের থেকে ৫ জন। তাহলেই হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সফল হবে। অন্যথায় হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সকল আদর্শ উদ্দেশ্য জলাঞ্জলী হবে।