নওগাঁয় ভর্তি ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মারধর

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতা ও ‘জুলাই যোদ্ধা’ জুনায়েদ হোসেন জুনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জুনায়েদ নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, জুনায়েদ কলেজ প্রশাসনের কাছে অতিরিক্ত ফি কমানোর অনুরোধ জানিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা বলেন। এরপর কলেজের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, “স্টাফদের ওপর হামলা চলছে, সবাই এগিয়ে আসুন।” কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষক ও কর্মচারীরা স্ট্যাম্প, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং কলেজ চত্বর থেকে জোর করে বের করে দেন।
ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিচার ও অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে স্লোগান দেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিলে তারা তালা খুলে দেন।
আহত জুনায়েদ হোসেন বলেন, “নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ আশপাশের কলেজগুলোর তুলনায় এখানে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে আমি কথা বলেছি বলে শিক্ষক ও স্টাফরা দলবেঁধে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, “মাইকে ঘোষণা শুনে আমরা ভেবেছিলাম কেউ স্টাফদের মারছে। কিন্তু গিয়ে দেখি উল্টো আমাদের শিক্ষকরা ও কর্মচারীরা মিলে একজন শিক্ষার্থীকে মারছে। কলেজে এখন নিরাপত্তা নেই।”
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, “ভর্তি কার্যক্রমের রুমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ছিল। উত্তেজনার সময় কোনো ক্ষতি হতে পারে ভেবে তাকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। সে কথা না শোনায় কর্মচারীরা তাকে সরিয়ে দিয়েছে। যদি কারও সঙ্গে হাতাহাতি হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অধ্যক্ষ আরও জানান, ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।