ম্যানইউর দুঃখ ভুলে ভিলায় দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন মার্টিনেজের

২০২০ সালে আর্সেনালের বেঞ্চের গোলরক্ষককে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে প্রমোশন দিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা। এরপর জাতীয় দলে নিয়মিত হয়েছেন, কোপা আমেরিকা ও কাতার বিশ্বকাপ জিতেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অ্যাস্টন ভিলার ভক্তরাও খুব সম্মানের চোখে দেখতেন মার্টিনেজকে। স্প্যানিশ কোচ উনাই এমেরির প্রিয় ছাত্রও ছিলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চলাকালে কোচের সঙ্গে ছোটখাটো মনোমালিন্যে ভিলা পার্কে লিগ মৌসুমের শেষ ম্যাচে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি।
ভেবেছিলেন- বড় কোন ক্লাবে যেতে পারবেন। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জয়ী গোলরক্ষক বলে কথা। নিয়মিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছের কথাও সেসময় বলেছিলেন এমি। গুঞ্জন রটেছিল- বার্সেলোনা, পিএসজি, চেলসি তার দিকে নজর রাখছে। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গুঞ্জন আসে।
শেষ পর্যন্ত ওই ম্যানইউ-এর দিকে তাকিয়ে ছিলেন দিবু। ইংল্যান্ডের ফুটবলে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের দরজা বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে ম্যানইউ তার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনাও করছিল। চুক্তি প্রায় হয়েই গিয়েছিল। যে কারণে আন্তর্জাতিক বিরতির আগের ম্যাচে মার্টিনেজকে একাদশে রাখা হয়নি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই চুক্তির আলোচনা ভেস্তে যায়। ম্যানইউ মার্টিনেজের সঙ্গে একরকম ‘প্রতারণা’ করে এন্তেরিপের ২৩ বছর বয়সী বেলজিয়াম গোলরক্ষক সেনে লেমন্সের সঙ্গে চুক্তি করে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়ার পর গুঞ্জন উঠে, তুরস্কের লিগে গালাতাসারায়ে যেতে পারেন মার্টিনেজ। তবে মার্টিনেজ তাতে সায় দেয়নি। তাই ফিরলেন অ্যাস্টন ভিলার জার্সিতে। ফিরেই দুর্দান্ত এক ম্যাচ খেললেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের মাঠে ভিলাকে রক্ষা করেছেন একের পর এক সেভে। গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়লেও তার প্রত্যাবর্তনে খুশি ভিলা কোচ উনাই এমেরি।
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্টিনেজ লিখেছেন, ‘যখন আমি জার্সির বুকে প্রতীক (ক্লাব বা দেশের ক্রেস্ট/লোগো) পরি, তখন আমি নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েই খেলি।’
মার্টিনেজকে নিয়ে কথা বলেছেন অ্যাস্টন ভিলা কোচ উনাই এমেরিও। তিনি বলেছেন, ‘ওর পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের কষ্ট হয়েছে। তবে আমাদের অনুভূতিগুলোকে এখন ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আর দলের সম্মিলিত লক্ষ্যকেই সামনে রাখতে হবে। আজ ওর ফিরে আসাটা ছিল দুর্দান্ত।’