ঝিনাইদহে সম্পত্তি বিবাদে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা।

মিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কোলা গ্রামে একটি অদ্ভুত ও বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দুই পক্ষের সন্তানদের সম্পত্তি বিরোধের কারণে ৮০ বছর বয়সী লেদু দেওয়ানের মরদেহ দাফনে বাধা দেয়া হয়। স্থানীয় লোকজন,পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা পরে শেষ পর্যন্ত মরদেহ দাফন করা সম্ভব হয়।
লেদু দেওয়ান সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান। তিনি দুই বিয়ে করেছিলেন এবং দুই সংসারে মোট ১০ সন্তানের জনক ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি সব সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রীর ও তার সন্তানদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।
মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি শুরু করলে, প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা সম্পত্তি ভাগ না দেওয়া পর্যন্ত মরদেহ দাফনে বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের ৭০ শতক জমি দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে মরদেহ দাফন করা হয়।
প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা অভিযোগ করেন, সৎ মা ও তার সন্তানরা বাবাকে জিম্মি করে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করেছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের দাবি, লেদু দেওয়ান জীবিত অবস্থায় স্বেচ্ছায় সম্পত্তি দিয়েছেন।
এএসআই ইকবাল হোসেন বলেন, “লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার কারণে বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কা ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় লিখিত সমঝোতার মাধ্যমে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”