সারাদেশ

পুলিশের উদ্দোগে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো ব্যাহত হচ্ছে আইনি সেবা

শিমুল তালুকদার
সদরপুর থেকে
অপরাধীদের গতিবিধি শনাক্ত, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট নজরদারি আওতায় রাখা সহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে সহায়ক হিসেবে সদরপুর থানা পুলিশের উদ্দোগে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন যাবত
অকেজো থাকার কারনে গুরুত্বপূর্ণ স্পট গুলো থানা পুলিশের নজরদারির বাইরে চলে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে আইনি সেবা।
যথাযথ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে পুনরায় এই সকল স্পষ্ট গুলো আইনের নজরদারিতে থাকবে এমনটাই বলছেন ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার সর্বস্থরের জনসাধারণ
জানা গেছে, গত প্রায় ৪ বছর পূর্বে ফরিদপুরের সদরপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ওসি সুব্রত গোলদারের উদ্দোগে  উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক, উপজেলা সদরের প্রবেশ পথ ও প্রস্থানের রাস্তা সমুহ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কে উন্নত মানের  ৭৮ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণপুরের মোড়, কলেজ মোড়, সদরপুর হাসপাতাল মোড়ে, কালিখোলার মোড়, আটরশি দরবার শরীফের মোড়,ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা বাইশ রশির মোড় সহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সরকারী অফিস সমুহের সামনে এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল।
এসব সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রনণ ছিল ফরিদপুর জেলা পুলিশের। সদরপুর  থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে থাকা বিশাল মনিটরে এসব ক্যামেরার সংযোগ থাকায় উল্লেখিত বিভিন্ন স্পটগুলো ছিল পুলিশের নজরদারিতে। গত বছর ৫ই  আগস্টে, আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে সারাদেশের ন্যায় সদরপুর থানায় বিক্ষুদ্ধ জনতার হামলা, থানা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগে সিসি ক্যামেরার যন্ত্রপাতি ও মনিটর ভাংচুর হলে তখন থেকেই মুলত সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রন ও কার্য্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিস্ক্রিয় হয়ে পরে অপরাধী চিহ্নিত, গতিবিধি শনাক্ত সহ অপরাধ দমনের বিভিন্ন কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা সদরের  ব্যাবসায়ী সৈয়দ প্লাজার স্বতাধিকারী সৈয়দ কামরুজ্জামান লিটন বলেন, ফরিদপুর জেলা পুলিশের সহায়তায়  সদরপুর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ সুব্রত গোলদার এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে উপজেলার অপরাধ দমনে এক ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, একটা সময় উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থান হতে মোটর সাইকেল চুরি হতো সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কারনে সেসময় মোটর সাইকেল চুরি অনেকটা কমে এসেছিল। বর্তমান অফিসার ইনচার্জ আবার এসব ক্যামেরা চালু করলে উপজেলার অপরাধ দমন সহ অপরাধী শনাক্তে সহজ হবে৷
অপর ব্যাবসায়ী আদেল উদ্দিন হাওলাদার মার্কেটের পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পুলিশের নজরদারিতে থাকায় অপরাধীদের আনাগোনা অনেকটা কমে এসেছিল। ফলে উপজেলা সদররের ব্যাবসায়ী মহল ছিল অনেক নিশ্চিন্তে। এসব সিসি ক্যামেরা পুনরায় চালু করলে অপরাধ দমন ও অপরাধী সনাক্তে সহায়ক হবে।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকদেব রায় বলেন, সিসি ক্যামেরা পুনরায় চালু করার ব্যাপারে জেলার উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি পুনরায় আবার অপরাধ দমন ও অপরাধী সনাক্তে এসব সিসি ক্যামেরা চালু করার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সারাদেশ

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হলেন সাব্বির আহমেদ সামাদ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার একনিষ্ঠ ও ত্যাগী ছাত্রনেতা সাব্বির আহমেদ সামাদ।
সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,