চিরিরবন্দরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের “আলোকডিহি বধ্যভূমি”
																																		এনামুল মবিন(সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার.
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১২নং আলোকডিহি এলাকাটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের “আলোকডিহি বধ্যভূমিতে”শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।
চিরিরবন্দর উপজেলাটি উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৮৫ সালে। ঠিক সেই সময়ে উপজেলার উত্তর অংশের মধ্যে রানীরবন্দর ও আলোকডিহি অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু তার আগে থেকেও এ এলাকাটি ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষায় দিনাজপুর জেলার মধ্যে নিজেদের নাম পাকা পক্ত করে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, তাত শিল্প, শাড়ি ও লুঙ্গি বোনার কাজগুলো সুনামের সাথে করে গিয়েছে এই এলাকার মানুষজন।
অন্যদিকে সৈয়দপুরের সবচেয়ে কাছের বড় বাজার হওয়ায় ১৯৭১ সালে এ এলাকায় বেশি তান্ডব চালায়। রানীরন্দর এবং আলোকডিহির বুক চিরে বয়ে গেছে শান্ত সিগ্ধ নদী ‘ইছামতি’। এ নদীর পাশে গত শতাব্দীর ত্রিশ দশকে গড়ে উঠে আলোকডিহি জেবি হাই স্কুল।
৭১’ এর নয় মাস যুদ্ধের প্রায় সময়েই মুক্তিবাহিনীর পাক হানাদার বাহিনীদের ছোট বড় যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। মুল পাকা সড়ক থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে নদীর কোল ঘেসে একটি বড় গর্ত বানিয়ে রাখে হানাদার বাহিনীরা। রাতের অন্ধকারে পাখির মতো নিরীহ বাঙালীদের হত্যা করে এই গর্তে ফেলে রাখতো। ধারণা করা হয় প্রায় ১০০/১৫০ বাঙালীকে হত্যা করে পুতে রাখেছিল এখানে। এক সাথে এতো মানুষের হত্যা এ অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে বড়।
পরবর্তীতে মাহাতাব বেগ,বেসারত আলীর মতো মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে বিজয় অর্জিত হলেও শহীদদের স্বজনদের মনে এ ক্ষত আজও কাঁদায় ৷ জোর দাবী আসে বদ্ধভূমিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা।
অবশেষে শত শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয় “শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ”।
এ জায়গাটি নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি পুরো ঘটনাটির একটি লিখিত ফলক টাঙ্গানোর জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সুধী সমাবেশ।
                                    
        
                        
                        
