মনোনয়ন জমা দানে তুগলকি কান্ড, বিএসবিওএ নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষোভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
বাংলাদেশ শিল্প হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিওএ)-এর নির্বাহী কমিটির (২০২৫–২০২৬ ও ২০২৬–২০২৭) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে ঘটেছে এক তুগলকি কান্ড। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বুধবার (১২ নভেম্বর ২০২৫) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষ পর্যন্ত ১২টি পদের বিপরীতে মাত্র সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, মোট ১২টি পদে আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এসব পদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচিত হবেন।
গত ৫ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ে ২৭টি ফরম বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একজন প্রার্থী একাধিক পদে ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দিতে পারবেন কেবল একটি পদে।
তবে মনোনয়ন জমা প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই দেখা যায় চরম বিশৃঙ্খলা। তফসিলে নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্যের স্বাক্ষর থাকলেও পুরো সপ্তাহে কিংবা মনোনয়ন জমাদানের দিন—তাদের কেউই নির্বাচনী কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি নির্বাচনী বোর্ডের কোনো সদস্য বা অ্যাসোসিয়েশনের কোনো কর্মকর্তা ও উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযোগ রয়েছে, একজন মহিলা অফিস সহায়ক একাই ১২টি পদের বিপরীতে সাতটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে একজন, ফার্স্ট ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং পরিচালক পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এদিকে সংগঠনের বিদায়ী কমিটির প্রায় ১০ জন সদস্য পরপর দুই মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় তারা এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এছাড়া বিদায়ী কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের ছাত্র গণআন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলাসহ একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফলে তাদের নেতৃত্বাধীন বা সমর্থিত প্রার্থীরা প্রকাশ্যে আসতে পারেননি। অনেকে অন্যজনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দিতে পারেননি। কেউ কেউ আবার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে না গিয়ে নির্বাচন কমিশনের ইমেইলে মনোনয়ন পাঠানোর চেষ্টা করেছেন বলেও জানা গেছে।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি গ্রহণের সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের পরিস্থিতি স্পষ্ট নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বহীন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ এইচ এম মনজুরুল আলম ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোমিনসহ অন্য প্রার্থীরা।

