পঞ্চগড় পৌরসভায় সৌরবাতি স্থাপনে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ
একেএম বজলুর রহমান , পঞ্চগড়
পঞ্চগড় পৌরসভায় সৌরবাতি স্থাপনে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পে প্রতিটি সৌরবাতির দাম ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ১৫০ টাকা।
বাজার বিশ্লেষনে জানা যায়, মাত্র ৩১-৩৫ হাজার টাকায় স্থাপন করা যায় এ সৌরবাতি। এদিকে কাজ শেষ হওয়ার আগেই একাধিক সৌরবাতি নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বাতি নষ্ট হলে দুই বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিবেন। দামের বিষয়টি টেকসই ও জ্বালানি নবায়নযোগ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) দাম অনুযায়ী প্রাক্কলন করা হয়েছে।
পৌরসভার তথ্যনুযায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের আওতায় ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩২৪ টাকা বরাদ্দ দিয়ে পঞ্চগড় পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ৭৫ টি সৌরবাতি স্থাপন করার কাজ দেয় সানটেক এনার্জি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। প্রকল্প শেষের মেয়াদ ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। দফায় দফায় ৪০ টি স্ট্রিটলাইট স্থাপন করার পর।৫০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয় ঠিকাদারকে। পরবর্তীতে প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি সরজমিন রাতে দেখা যায়, ৭-৮ টি সৌরবাতি নষ্ট এবং কয়েকটি বাতির আলো নিভু নিভু অবস্থা।
ফরচুন ব্র্যান্ডের ৩০ ওয়াট লাইট, ১৬৫ ডাব্লিউ পি প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। প্রাক্কলনে এলইডি লাইট ৫ বছর ও প্যানেলের ২০ বছরের ওয়ারেন্টির কথা উল্লেখ করা হলেও, এক বছরের মধ্যে একাধিক বাতি নষ্ট হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মচারি বলেন, আওয়ামীলীগের তৎকালীন মেয়র ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের পছন্দ মতো ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো স্ট্রিটলাইটের দাম দেখানো হয়েছে।
ট্রাক টার্মিনাল এলাকার হবিবর রহমান বলেন, সৌরবাতি স্থাপনের কিছুদিন আলো দিয়েছে কিন্তু কয়েক মাস পর আলো কমতে কমতে কিছুদিন থেকে কয়েকটি সৌর বাতি আর জ্বলেনা।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সানটেক এনার্জি লিমিটেড ঢাকা, এর এজিএম রিপন বলেন, এটা সরকারি দাম। আমাদের কিছু করার নাই।সরকারি যেভাবে দাম আসছে, সেভাবে টেন্ডার হয়েছে।
আমরা টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেছি, আরো দশটা পার্টি অংশ গ্রহণ করেছে। প্রাক্কলনে যেভাবে ধরা আছে আমরা সেভাবে বাতিগুলো স্থাপন করেছি।
প্রকল্প পরিচালক ও পঞ্চগড় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রনব চন্দ্র দে বলেন, আমরা সৌরবাতি স্রেডা কর্তৃক নিয়ম মেনে প্রাক্কলন তৈরী করেছি। বাতি নষ্ট হলে দুই বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিবেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। টেন্ডারে একটি প্রতিষ্ঠানই অংশ গ্রহণ করেছিল বলেও জানান তিনি।





