হাতীবান্ধায় ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ!
আবুহাসান (আকাশ), হাতীবান্ধা লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মডেল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিল পাঠানোর ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম মিঞার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষা অধিদপ্তর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই গুরুতর অভিযোগে কলেজটির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মডেল কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকেই কলেজের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। মূলত, তিনজন অধ্যক্ষ দাবিদার হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। এই জটিলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর হাসান আলীর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, তার মদদেই মডেল কলেজের বেতন বিল দ্রুত অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে বিলটি পাঠানো হয়েছিল।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তদন্তে স্বাক্ষর জালিয়াতির প্রমাণ মেলায় শিক্ষা অধিদপ্তর ওই ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধের কঠোর আদেশ জারি করে।
এদিকে, এই জালিয়াতির সঙ্গে দলীয় নেতার জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পেরে হাতীবান্ধা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাবেক আমীর হাসান আলীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার ফলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।




