ভোলায় ছেলের বউ এর সাথে অভিমান করে শাশুড়ির আত্মহত্যা, হাসপাতালে লাশ রেখে স্বামী, সন্তান পালিয়ে যায়

মোঃ রাফসান জানি, ভোলা
ছেলের বউ এর সাথে সংসারে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় শাশুড়ীর, সেই অভিমানে বাড়ির পিছনে বাগানে একটি গাছের সাথে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শাশুড়ী বিবি ফাতেমা।
শাশুড়িকে ঘরে না দেখে অন্য ছেলের বউরা খোঁজাখুঁজি করে, খুঁজতে গিয়ে দেখে বাগানে গাছের সাথে ঝুলে ছটফট করছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে স্বামী ও ছেলে’সহ অন্যান্যরা ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।ঘটনা লুকায়িত রেখে স্টকের রোগী বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী মোঃ শফিক মাঝী ও বড় ছেলে মোঃ ইয়াসিন। চিকিৎসা অবস্থায় ১১ঃ৩০ মিনিটের সময় মৃত্যুবরণ করেন বিবি ফাতেমা। মৃত্যুর পরে স্বামী শফিক মাঝি বলেন তার স্ত্রী গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়েছে, এই বলে বড় ছেলে ইয়াসিন ও স্বামী শফিক ভয়ে হাসপাতালে লাশ রেখে কৌশলে পালিয়ে যান।
মৃত বিবি ফাতেমা ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের গুলি গ্রামের নাছির মাঝি নামক এলাকার শফিক মাঝীর স্ত্রী। তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।
ফাতেমার বড়িতে গিয়ে তার স্বামী, বড় ছেলে ও ছেলের স্ত্রী জান্নাত’কে পাওয়া যায়নি, এলাকাবাসীরা জানান তারা ভয়ে পালিয়ে গেছে।
মাতেমার ছোট ছেলে সোহাগের স্ত্রী সুমা আক্তার দৈনিক আমার বার্তা’কে জানান তার শাশুড়ির একটু মানসিক সমস্যা আছে হঠাৎ হঠাৎ মাথা গরম হয়ে যায় এবং হঠাৎ হঠাৎ এদিক ওদিক চলে যায়, মাগরিবের নামাজ পড়ে তাকে আর ঘরে পাওয়া যায়নি চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরে পিছনের বাগানে গিয়ে দেখে গাছের সাথে জীবিত ঝুলে আছে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফাতেমার মেয়ে জান্নাত বলেন আমার মায়ের মানসিক সমস্যা আছে, সেই জন্যই সে গলায় ফাঁস দেয়।আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই।
প্রতিবেশী আবিদ ও রিনা জানান,শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যার সময় মৃত ফাতেমার বড় ছেলের স্ত্রী জান্নাতের সাথে ঝগড়া হয়, তার কিছুক্ষণ পরেই আমরা শুনতে পাই গলায় ফাঁস দিয়েছে, সেখান থেকে তার স্বামী,ছেলে ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে রাতে মারা যায় আমরা শুনি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ মোঃ হাচনাইন পারভেজ, এর সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক আমার বার্তা কে বলেন, বিবি ফাতেমা গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়। জীবিত তাকে তার পরিবার উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরে সে চিকিৎসা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাস হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই, পরবর্তীতে কোন অভিযোগ আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।