দেবীগঞ্জে স্কাউটসের প্রশিক্ষন কেন্দ্রে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, ছাদ ধসে ২ শ্রমিক আহত

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের স্কাউটস প্রশিক্ষন কেন্দ্রের দোতলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ঢালাইয়ের প্লাষ্টার ধসে পড়ে গেছে। তবে ধসে পড়া প্লাষ্টারে দুই জন শ্রমিক আহত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক।
২২ জুন রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছাদের ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। দুপুরে প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই শ্রমিক আহত হন।
জাতীয় স্কাউটস প্রশিক্ষন কেন্দ্র দেবীগঞ্জের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র জানান, প্রশিক্ষন কেন্দ্রের
কাজের মানের কোন সমস্যা নাই। তবে এখানে যারা করতেছে তাদের কাজের অসাবধানতার কারনেই ছাদের এক পাশে ধসে পড়ে। এখন আবার পুরনায় ছাদের ঢালাইয়ের কাজ করতে হবে।
দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সাইট ইন্জিনিয়ার আবু সালেহ মোঃ জুবায়ের জানান, কাজে অসাবধানতার কারনে পা স্লিপ করে। যার কারনে নিচের বাঁশ সর গিয়ে দোতলার ছাদ ধসে পড়ে যায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে কাব স্কাউটিং সস্প্রসারন প্রকল্প (৪র্থ পর্যায়) এ সারা বাংলাদেশে ১৬ টি ভবনের কাজ শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে দেবীগঞ্জেও কন্ট্রাকশন অফ টু স্টুরিড বিল্ডিং হুইথ সিক্স ষ্টরিড ফাউন্ডেশন এট এনএসটিসি-৩ দেবীগঞ্জ পঞ্চগড় নামে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ৬ কোটি ৪০ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৭৯ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর। কাজ শেষ করার কথা রয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন।
তবে দেবীগঞ্জের স্কাউটস প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উপ পরিচালক বিমল চন্দ দাস জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের কাজের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব ২২ মে আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকায় এসে কাজের মান দেখে তাদের আবেদন মন্জুরও করেছেন ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসির সদস্য ও স্কাউট এর এডহক কমিটির সদস্য ডাঃ আমিনুল ইসলামও ১২ মে পরিদর্শনও করেছেন।
সাইদুর রহমান হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী। তিনি কাজ চলাকালীন সময়ে মাত্র চার দিন এসেছেন। বড় ধরনের প্রকল্পের কাজে তিনি নিয়মিত প্রকল্প এলাকায় না আসায় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় লোকজন।
সাইদুর রহমান না আসলেও প্রকল্পের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দেখাশুনা করেন সুমন নামের এক ব্যক্তি। তিনি প্রকল্প এলাকায়ও আসেননি নিয়মিত। প্রকল্প চলাকালে তিনি মাত্র ২দিন এসেছেন।
দিলীপ কুমার ও সাদ্দাম হোসেন নামের দুজন ম্যানেজার প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কাজের দেখভাল করছেন শুরু থেকে। ছাদ ধসে পড়ার ঘটনা সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোন মন্তব্য না করে সুমনের সাথে কথা বলতে বলেন।
দেখভাল করা সুমনের ব্যক্তিগত ফোনে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।