যুবদল নেতার অনৈতিক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা তার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা, তথ্য উপাত্ত্য ও প্রতিহিংসার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক অনৈতিক বহিষ্কারাদেশ নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
১৪ জুলাই সোমবার,বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা ও তার বড় কন্যা তাসমিনা হক(নিম)।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বড় ছেলে মিসবাহ উল হক, ছোট ছেলে মিরাজ উল হক,
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ অর্থ সম্পাদক, জিয়াউল হক মিন্টু, সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, মোঃ শেখ কামাল আলম, মহানগর যুবদলের সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য, সাব্বির ইসলাম ফারুক,
বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক, ইসমাইল হোসেন লেদু
চকবাজার থানা যুবদলের, সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব, মোঃ হাসান, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক,মোঃ আব্দুল জলিল,
মহানগর যুব দলের নেতা জাবেদুল হক, যুবদল নেতা, মোঃ ওসমান গনি,সাদ্দামুল হক, মোঃ আলমগীর, মোহাম্মদ রাসেল করিম প্রমুখ ।
এমদাদুল হক বাদশা লিখিত বক্তব্যে বলেন।
গত ১২ জুলাই আমাকে যুবদল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য- এই বহিষ্কারের আগে আমাকে কোন ধরনের কারণ জানানো হয়নি, আমার বক্তব্য শোনা হয়নি, এমনকি কোন নোটিশও পাঠানো হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে তথাকথিত একটি তদন্ত টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রশ্ন হল- সেই রিপোর্ট কখন তৈরি হলো এবং কখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জমা পড়লো সেটি আমার জানার অধিকার ছিল। সে ক্ষেত্রে আমি কিছুই জানিনা।
আমি কাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছি বা কাদের জায়গা দখল করেছি- এসব কি কোনদিন লিখিতভাবে আমাকে জানানো হয়েছে?
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই- চট্টগ্রামের কোন থানায়, আদালতে ব্রাজিলের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ আছে কিনা, তা প্রমাণ করা হোক। যদি থাকে, আমি আজীবনের জন্য রাজনীতি থেকে সরে যাবো।
সর্বশেষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি এই বহিষ্কারাদেশ পুনঃবিবেচনা করে, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক দল ও আমার পরিবারের সন্মান রক্ষার্থে।