চিরিরবন্দরে ছুটি ছাড়ায় মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষিকা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
চিরিরবন্দর উপজেলা দক্ষিন হযরতপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সাথী চৌধুরি ছুটি ছাড়ায় মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিয়োগ উঠেছে ।
তার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের ক্ষতি হচ্ছে এমনটাই জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা যায়, সহকারি শিক্ষিকা সাথী চৌধুরি ২০০৯ সালে এপ্রিল মাসে দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার একটি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এর কিছু দিন পরে ২০১০ সালে ১২ সেপ্টেম্বন জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিন হযরতপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।
দক্ষিণ হযরতপুর যোগদানের পর থেকে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সুবাদে স্কুলে আর আসতে হয় না। প্রধান শিক্ষকে সঙ্গে আলাপ কালে তিনি এই কথা গুলো বলেন।
সরজমিন স্কুলে গেল তাকে পাওয়া যায়নি, মুঠোফোনে স্কুলে না আসার কারণের জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে ও দুই বছর তিনি বিনা ছুটিতে স্কুলে না আসার অভিযোগ উঠেছে ।
গত প্রায় সাত মাস ধরে স্কুলে অনুপস্থিত ওই সহকারি শিক্ষীকা। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারলে শিক্ষা অফিসার মিনারা খাতুন সুকৌশলে কয়েকদিন আগের তারিখ দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ অফিসে ফালবন্দী করে রাখেন। তিনি বলেন সাংবাদিকে দেখানো যাবে না ।
শিক্ষকের দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার, স্কুলে না আসার কারণ জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক ফজিলা ইয়াসমিরে বলেন, সহকারি শিক্ষক সাথী চৌধুরি স্কুলে না আসার কারন অসুস্থ ছুটিতে আছে ছুটির আবেদন ও সাথী চৌধুরি হাজিরা দেখেতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে খাতা দেখাতে নিষেধ করছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( টি ও) সহকারী শিক্ষা অফিসার এটিও স্যার। তিনি আরো জানান, আমার ঐ শিক্ষিকা আমাকে চার মাসের মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়েছে ছুটির জন্য।
তার স্বামী আমাকে আরোও দুই মাসের মেডিকেল কাগজ পত্র মেনেজ করার জন্য বলছে। আমি আর দুই মাসের মেডিকেল কাগজ মেনেজ করার চেষ্টা করতেছি
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মনজুরুল ইসলাম জানতে চাইলে তিনি জানান, , সাথী চৌধুরি সহকারি শিক্ষক দুই মাসের মেডিকেল ছুটিরে আবেদন করে প্রায় ৭ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। আমরা তার বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি । এর আগে বিদ্যালয়ে ছুটি ছাড়া বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক আগের ঘটনা আমি যোগদান করার পূর্বে তবে শুনছি তিনি দুই বছরে বিএড করার জন্য ছুটি নিয়ে ছিলো ।
শুধু শিক্ষকে বিরুদ্ধে নয়,
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনারা খাতুন বিরুদ্ধে ১ লা জানুয়ারীতে সারাদেশে সরকারের নির্দেশনায় বিনা মুল্য বই বিতরণ করা হয়। সেই সরকারি বই উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে সংগ্রহ করার সময় সহকারী শিক্ষা অফিসার-অফিস সহকারীকে দিয়ে প্রতেক বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রধান ও পরিচালকদের কাছে এক হাজার টাকা ও সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালেয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ৫০ টাকা নেয়। বিনামূল্যে বই দিয়ে টাকা নেওয়ার খবর বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনারা পারভীনের কাছে অনুপস্থিত শিক্ষকের কথা জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীর উপর উত্তেজিত হয়ে বলেন এইটা আমার অফিসিয়াল ব্যাপার, আমি ঐ ব্যাপারে আপনাদেরকে কোনো তথ্য দিতে পারবো না, আপনাদের কি লেখার আছে লেখেন।