নওগাঁয় এসএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৫০ শিক্ষার্থীকে শিবিরের সংবর্ধনা

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট, বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইসলামী ছাত্রশিবির নওগাঁ জেলা শাখার আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
নওগাঁ জেলা শিবিরের সভাপতি আব্দুর রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—সরকারি বশির উদ্দিন কো-অপারেটিভ মেমোরিয়াল কলেজের (বিএমসি) সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নওগাঁ জেলা শাখার সেক্রেটারি আ স ম সায়েম, নওগাঁ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. মনজুরে খোদা, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি সারোয়ার হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামী ছাত্রশিবির শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এসব মেধাবী শিক্ষার্থীই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের অনুপ্রেরণা দিতেই এবার নওগাঁ জেলার ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সংবর্ধনা পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দাখিল পরীক্ষায় হজরত খাদিজা (রা.) ফাজিল মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ইনিয়া জাহান বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা শিক্ষা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখান থেকেই উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই। এমন সংবর্ধনা দেওয়ায় ছাত্রশিবিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি তারা ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তারা যদি নৈতিকভাবে সৎ ও সচেতন হয়ে গড়ে ওঠে, তবে দেশ সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। কারণ এদের মধ্য থেকেই ভবিষ্যতের এসপি, ডিসি, চিকিৎসক, প্রশাসক ও জাতীয় নেতারা তৈরি হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামীর বাংলাদেশ হবে নৈতিকতায় পরিপূর্ণ একটি দেশ।’