বেলকুচির রাজপথে রক্তের হোলি-তরুণ দল নেতাকে রামদা দিয়ে কোপাল বিএনপি নেতা!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে তরুণ দলের এক নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রানীপুরা মধ্যচর গ্রামে রইস উদ্দিন তালুকদারের বাড়ির সামনে এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।
আহত মোঃ হাসান শেখ (২৭) বেলকুচি উপজেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম এসেছে বেলকুচি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মামুন হোসেন বরাদ এবং তার সহযোগীদের।
ঘটনার বিবরণ ও পরিবারের অভিযোগ
আহত হাসান শেখের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, বেলকুচি পৌর বিএনপির নেতা মামুন হোসেনের সাথে তার ভাইয়ের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সোমবার সকালে মামুন হোসেন বরাদ, তার তিন ছেলে মোঃ হৃদয় ও মোঃ মারুফ হোসেন মোঃ জয় এবং তার সহযোগি শহিদুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, বিশেষ করে রামদা নিয়ে হাসানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
শরিফুল ইসলামের অভিযোগ, তারা আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নির্মমভাবে কোপাতে থাকে। আধিপত্য বিস্তার করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
হামলার পর গুরুতর আহত হাসান শেখকে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বলেন, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান আলীমের ছত্রছায়ায় এবং তার ইন্ধনেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আমিনুল ইসলাম খান আলীমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে আহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, এই নির্মম ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে এবং থানায় মামলা দায়ের না করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল থেকে তাদের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।