জমি নিয়ে বিরোধ, নারীসহ ৬ জন হাসপাতালে

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল। জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু তে জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৬ জন জখম হয়েছেন। আহতরা হলেন- হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের টাকিয়ারপুতা মাঠপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৫), তার ভাই সোবহান মন্ডল (৬০), সোবহান মন্ডলের ছেলে তাজমিন (২০), শরিফুল ইসলামের ছেলে রাজন (২১) ও প্রান্ত (১৯) এবং সোবহান মন্ডলের স্ত্রী। আহতদের ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হরিণাকুন্ডু থানা মামলা গ্রহন না করায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের টাকিয়ারপুতা মাঠপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা করেন আহত তরিকুল ইসলাম। মামলায় টাকিয়ারপুতা গ্রামের মৃত রাহেন মন্ডলের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫৪), তার ছেলে রাফিজুল (২৫), শহিদ মালিতার ছেলে শিপন মালিতা (৩৮), রিপন মালিতা (৪০) সহ ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। হামলার শিকার তরিকুল ইসলামের বোন হাসিয়া খাতুন জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধ অনেক দিনের। জমি মাপার কাজ শুরু হলে এক পর্যায়ে শিপন মালিতা ও রিপন মালিতার নেতৃত্বে তাদের লোকজন দা, খুনতা, কোদাল নিয়ে হামলা চালায়। নারীদেরকেও তারা পিটিয়ে জখম করেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, হামলার শিকার তরিকুল ইসলাম একজন মাশরুম উদ্যোক্তা। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে একাধিকবার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। হামলাকারীরা তরিকুলের খামারে লুটপাট চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। তরিকুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় চরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা সাহায্য না করে ভর্ৎসনা করেন। হামলাকারীদের ভয়ে আমরা বাড়িতেও যেতে পারছি না। পুলিশকে ঘটনা জানিয়েও কোনো বিচার পাচ্ছি না। অভিযুক্ত শিপন মালিতা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমির কাগজপত্র আমাদের থাকলেও তারা জমি দখল করে বসে আছে। এ নিয়ে মারামারি হয়েছে। আমরাও আহত হয়েছি। প্রতিপক্ষ মামলা করেছে শুনেছি। মামলা হতেই পারে। এসব নিয়ে আমরা ভাবছি না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান জাকারিয়া বলেন, পুলিশ আইনগত সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা চাই, কোনো ভাবেই যেন মারামারি না হয়। ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন বলে শুনেছি। মামলা হলে আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।