বিয়ের ৭ দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন

কাউছার আহমেদ টিপু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাপ্রতিনিধি।
আখাউড়ায় বিয়ের সাত দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে হত্যার শিকার হলেন স্বামী মেহেদী হাসান।(১৬ মে) শুক্রবার মধ্যরাতে আখাউড়া পৌরশহর মসজিদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান মৃত জলফু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জান্নাত আক্তার। মেহেদি হাসানের পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে মাকে নিয়ে মসজিদপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদি হাসানের সাথে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার মেহেদী হাসান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে নিহতের স্ত্রী জান্নাত আক্তার বাড়ির মালিককে ডেকে বলে তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতো। তিনি খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। তার স্ত্রী ৬টি ঘুমের টেবলেট খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। শুনেছি তার অন্য ছেলের সাথে প্রেম আছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আরও জানতে পেরেছি, বিয়ের আগে এক ছেলের সঙ্গে জান্নাত আক্তারের প্রেম ছিল। গত রাতে স্বামীকে বলে তার ঘুম আসছে না বলে তাকে দিয়ে ঘুমের টেবলেট আনায়। পরে কোকের সঙ্গে ৬টি ঘুমের টেবলেট খাইয়ে অচেতন করে। পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্বামীকে হত্যা করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।