কনকনে শীত আর হিমেল বাতাসে কাহিল উত্তরের জেলা দিনাজপুরবাসী।

এনামুল মবিন(সবুজ)
জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর.
প্রবাদ আছে মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে। কনকনে শীত, হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। প্রতিনিয়তই তাপমাত্রার ছন্দপতন ঘটছে। কোনো দিন বাড়ে তো কোনো দিন কমে। কোনো দিন রোদ তো কোনো দিন কুয়াশা।
সোমাবার (২০ ডিসেম্বর) ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। সেই কুয়াশা বৃষ্টির মতো হয়ে ঝরছে। তিন কিলোমিটার বেগে হিমেল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এতে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত।
অন্যান্যবার এসময় শীতের প্রকোপ থাকলেও এবার তেমন শীত নেই। আজও দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ ছয়দিন পর আজ ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া শুরু হয়েছে। এতে ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া গরিব মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা।
সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা না থাকলেও বইছে তীব্র হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। হিম হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছেন। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান। কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ৩ কিলোমিটার। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।