পাথরঘাটায় চাঁদা দাবি কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি ,
বরগুনার পাথরঘাটায় চাঁদা দাবি কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের ৬ জন আহত হয়েছে।
চাঁদা দাবির ঘটনায় গত ১৩ মার্চ উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৬নং নম্বর ওয়ার্ডের জ্ঞানপাড়া গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রবিবার আহত রফিকুল ইসলাম বাবুর মা হনুফা বেগম পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জানতে চাইলে নাচনাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক মহিউদ্দিন পান্না সংঘর্ষ ও চাঁদা দাবি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, রফিকুল ইসলাম বাবু (২২), হাফেজ মোল্লা (৫০), ফারুক মোল্লা (৫০), মোঃ আব্দুল্লাহ (১৭), মিজানুর রহমান (১৭)
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে হনুফা বেগম বলেন, কিছুদিন ধরে আমার ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবুর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে স্থানীয় সোনা আহমেদ মুন্না। ওই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যার পরে দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবু, আমার স্বামী ফারুক মোল্লা ও আমাদের প্রতিবেশী হাফেজ মোল্লাসহ ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। বর্তমানে তারা খুলনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজ স্থানীয় সোনা আহমেদ মুন্না ৫ আগস্টের পূর্বে এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন, বর্তমানে বিএনপি পরিচয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি করছে। এছাড়াও তার অত্যাচার ও নির্যাতনে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। ওই ঘটনায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এছাড়াও সম্প্রতি যশোর এলাকা থেকে নাচনাপাড়া এলাকায় মুগ ডাল আবাদে জমি চাষাবাদের জন্য কৃষি যন্ত্র মাহেন্দ্র ভাড়া এসে চাষাবাদের কাজ শুরু করেছিল। ওই ঘটনায় ওই সোনা আহমেদ চাঁদা দাবি করায় তারা কৃষি যন্ত্র মাহেন্দ্র নিয়ে যশোর চলে গেছে।
নাচনাপড়া ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, সোনা আহমেদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে জ্ঞানপাড়াসহ আশপাশ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া তার চাঁদাবাজির ঘটনায় স্থানীয় নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি ও চুরিকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে বাজারের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোনা আহমেদ মুন্না বলেন, আমি তাদের উপর হামলা করিনি বরং তারাই আমাকে মেরেছে। কিছুদিন পূর্বে আমি বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে আমাকে মারার জন্য পথ রোধকরে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করি তার জেরধরে আমাকে মেরেছে। আর তাদের লোকজন যারা আহত তারা নিজেরা নিজেদের আহত করেছে। আমার নামে চাঁদা দাবির অভিযোগ ভিত্তিহীন।