চাঁদপুর হাজীগঞ্জের আলোচিত শিক্ষিকার ৫ তলা বাড়ি নিয়ে নতুন করে তোলপাড়
মো: রাজন পাটওয়ারী, স্টাফ রিপোর্টার চাঁদপুর :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার শ্যামলী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন। ঢাকায় শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন,
“একটি দেশি মুরগি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য পর্যন্ত অনেক শিক্ষকই পান না। আমিও শিক্ষকতা করতে করতে আজও দেশি মুরগি কিনে খেতে পারিনি।”
তার দেওয়া এই মন্তব্য অল্প সময়েই ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে।
তবে স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানা যায়—শ্যামলী ও তার পরিবার আর্থিকভাবে বেশ সচ্ছল। তার বড় ভাই সালাউদ্দিন মোল্লা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। ছোট বোন সোহেলি চট্টগ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। নিজ এলাকার বাড়ির পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতেও রয়েছে তাদের দোতলা ভবন।
সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডে শ্যামলী ও তার বোনের মালিকানাধীন একটি পাঁচতলা ভবন—যেখানে তারা পরিবারসহ বসবাস করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি শ্যামলী একটি বিউটি পার্লারও পরিচালনা করেন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাসারা গ্রাম তার পৈতৃক ঠিকানা। তার স্বামী কুমিল্লার বড়ুয়া এলাকার একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দুই সন্তানের জননী শ্যামলীর বড় মেয়ে ঢাকায় কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছেন এবং ছোট ছেলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ভাইরাল মন্তব্য নিয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন—“আমি ব্যক্তি হিসেবে নয়, শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি হয়ে কথা বলেছি। দেশজুড়ে অসংখ্য শিক্ষক যে বাস্তব সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করেন, সেই অবস্থাই তুলে ধরেছিলাম।”



