জামালপুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রতিনিধি
জামালপুর
জামালপুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানী ও হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী জাহিরুলকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়া দেয়ার প্রতিবাদে ওসি ও এসআইয়ের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভুগি পরিবার।
আজ (রবিবার) দুপুরে শহরের দয়াময়ী চত্বরে ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রত্না বেগম, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান রতন, ইমরান কায়েস ও বাদী হাদিউল ইসলাম রাব্বীসহ অন্যন্যরা।
বক্তারা বলেন, শহরের বাগেরহাটা গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় হত্যা চেষ্টার মামলার আসামী জহিরুল ইসলামকে শনিবার স্টেশন বাজার এলাকায় হামদার্দ আয়ুর্বেদিক থেকে এসআই বিজন কুমার চন্দ্রের নেতৃত্নে সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামলার আসামীকে আদালতে সোপর্দ না করে উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। আজহারভুক্ত আসামী ছেড়ে দিয়ে আইনের সেবা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আসামী ছেড়ে দেয়ার অভিয়োগে সদর থানার ওসি আবু ফয়সাল মো: আতিক ও এসআই বিজন কুমার চন্দ্রের অপসারনের দাবী করছি পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি।
ওই মামলার পর আসামী পক্ষের ঝর্ণা বেগম বাদী হয়ে মিথ্যা অভিযোগে বাদী পক্ষের লোকজনদের আসামী করে হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করছি।
এজহারভুক্ত আসামীকে ছেড়ে দেয়া ও মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সদর থানা থেকে অভিযুক্ত ওসি ও এসআইকে অপসারন না করা হলে স্বারকলিপিসহ নানা কর্মসুচিতে মাঠে নামবো জামালপুরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে।
মামলার এজহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার নিয়ম আছে জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মোঃ আতিক বলেন, এজার ভুক্ত আসামিকে যে ছাড়া যাবে না। এটা আইনেও নেই । মামলাটির তদন্ত চলছে। জাহিরুল এজহারভুক্ত আসামী কিনা আমার জানা নেয়। এজহারভুক্ত আসামী হলে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হবে।
তবে তিনি ঘুষ গ্রহন করে আসামী ছেড়ে দেয়ার অভিযেগ অস্বীকার করেছেন। এটা ষড়যন্ত্রমুলক অপ্রপ্রচার।
বাদী হাদিউল ইসলাম রাব্বী বলেন, মামলার শুরু থেকেই রহস্যজনক ভুমিকা ছিল ওসির। প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলাও গ্রহন করেন। এজহারভুক্ত আসামী গ্রেপ্তারের পর মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে আসামী ছেড়ে দিয়েছে।
বাদী আরো দাবী করেন, আসামী এজহারভুক্ত কিনা না জেনেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠার পর ওসি বলছে এজহারভুক্ত আসামী কিনা জানা নেই। ফের গ্রেপ্তারের কথা বলায় ওসি প্রমান করেছে তিনি ঘুষ নিয়ে আসামী ছেড়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ওসি ও এসআইয়ের অপসারনের দাবী করেছেন।।