‘‘জুলাইয়ের কন্যারা, আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’এর উপর ভিত্তি করেই আয়োজিত হলো নারী সমাবেশ’’

আদনান বিন হান্নান
যে বিপ্লবী চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতা এসেছে সেখানে নারীর অবদান অতুলনীয়। জুলাই ও আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন নারীরা। এ আন্দোলনে শহীদ হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছে অনেক নারী।
গতকাল ১০ ডিসেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে জুলাইয়ের এই অদম্য নারীদের নিয়ে “ জুলাইয়ের কন্যারা আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না ” শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয় এক নারী সমাবেশ। এই সমাবেশে যোগদান করে পুরো বাংলাদেশের সকল বিপ্লবী নারীরা সাথে অংশগ্রহন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীরাও। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনুস। তিনি বলেন “ পুরোনো দিনের প্রথাগুলোকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলার নারীরা যেন হয় বিশ্বের সকল নারীদের কাছে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ ”। পৃথিবীর অন্যান্য আন্দোলনের চেয়ে জুলাই আন্দোলন আলাদা, এমন বক্তব্য করে নারীদের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।
এ সময় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নারী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রতিকূলতা সম্পর্কে কথা বলেন। তাদের এই কথার মাধ্যমে উঠে আসে তাদের সাহসিকতার গল্প। তারা বলেন “ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা পাবে সমান মর্যাদা। যেখানে নারীদের নিয়ে আলাদা করে কোন সভার আয়োজন করা হবে না। আমরা পুরুষের মতোই সাধারণ হতে চাই ”। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন নিহতদের পরিবার সহ আহত নারী শিক্ষার্থীরা। তাদের গল্প যেন নতুন প্রজন্মের হার না মানা সাহসী নারীদের অনুপ্রেরণা। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থিত সকল বাঘিনী কন্যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার সামগ্রী। মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ উচ্ছাসিত এবং খুশি ছিল নারী। সারা বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসা এসব নারীদের উপস্থিত পরিবেশ হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর।