দক্ষিণ খুলনার গর্ব মেজর মোঃ মেসবাহুল ইসলাম (অব.)

ইসলামী আদর্শে দীক্ষিত সমাজসেবী, সততা ও নির্লোভতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
দক্ষিণ খুলনার পাইকগাছা-কয়রার কৃতিসন্তান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক পরিচালক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইসলামী চিন্তাবিদ মেজর মোঃ মেসবাহুল ইসলাম (অব.) একজন আদর্শিক নেতা, যিনি সততা, মানবসেবা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এক নিভৃতচারী দানবীর।
তিনি শামছুর রহমান ফাউন্ডেশন ও সীরাতুল হুদা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়মিতভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদান করে যাচ্ছেন। তার দান হয় গোপনে, প্রচারের বাইরে—তাঁর এ ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে করেছে অনন্য।
এক বংশে দুই প্রজন্মের আলোকবর্তিকা
মেজর মেসবাহুল ইসলামের পারিবারিক পরিচয়ও বিস্ময়কর। তিনি কিংবদন্তি ভাষাসৈনিক, ইসলামী আন্দোলনের প্রথম প্রজন্মের নেতা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মরহুম মুহাম্মদ শামছুর রহমান সাহেবের সুযোগ্য পুত্র। শামছুর রহমান সাহেব ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা বিভাগীয় আমীর।
তিনি ১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের (MNA) সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় দৈনিক সংগ্রাম, আধুনিক প্রকাশনীসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও ইসলামী আন্দোলনের অগ্রপথিক।
স্মরণীয় রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
মেজর মেসবাহুল ইসলাম (অব.) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার, কয়রা-পাইকগাছার বহুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ মুহা. রুহুল কুদ্দুস সাহেবের ভাগ্নে। পারিবারিকভাবে তিনি ইসলামী শিক্ষা, রাজনীতি ও জনসেবার পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন, যা তার জীবনের আদর্শ ও কাজের প্রতি গভীর প্রভাব রেখেছে।
জনকল্যাণে নিরলস প্রচেষ্টা
নিজের পেশাগত জীবনের সাফল্যের পাশাপাশি অবসর জীবনে তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সমাজসেবায়। তাঁর পরিচালিত ফাউন্ডেশন ও ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি দুঃস্থ, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সহায়তা কখনোই আনুষ্ঠানিকতা বা প্রচারনির্ভর নয়—বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তার কাজ।
জনপ্রত্যাশা ও প্রার্থনা
জনসাধারণের প্রত্যাশা, মেজর মেসবাহুল ইসলাম (অব.) যেন পিতার আদর্শ অনুসরণ করে ইসলামের খেদমতে জীবনের বাকি সময়গুলো উৎসর্গ করতে পারেন। তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও ধারাবাহিক জনসেবার জন্য এলাকাবাসীর অন্তর থেকে উঠে আসে একটাই শব্দ—
“আল্লাহ তাঁকে তাওফিক দিন। আমিন।”