সারাদেশ

বাংলাদেশের জনগন ভারতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ।- যুবদলের সভাপতি মোনায়েম।

মোঃ খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:

 

 

ভারতের আধিপত্য প্রতিহত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন সহযোগি সংগঠনে ডাকা ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের সমাপনী সমাবেশে অতিথির বক্তব্যে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত স্বাধীন চেতা জাতি। আমরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ। ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারতের। তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সীমান্তে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা ভারতকে এই হুশিয়ারী দেন। আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাক স্ট্যান্ডে সমাবেশ করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। আগরতলা সীমান্ত থেকে ১০০ মিটার দূরে স্থলবন্দর মাঠে এই সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমরা ভারতকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখি। আর শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আপনারা ভারতকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের ফিরিয়ে দিতে।

 

ভারতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, ভারত চট্টগ্রামকে তাদের বলে দাবি করে, আমরাওতো সিরাজউদ্দৌলার পশ্চিমবঙ্গকে দাবি করতে পারি। সেটাও বাংলাদেশের অংশ। আজকে লং মার্চের মাধ্যমে যদি আপনাদের সুবুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে আমরাও দেশের পাহারায় থাকব। তাই বলছি বাংলাদেশের প্রতি রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ নেই। আগস্ট বিপ্লবে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ সেটি প্রমাণ করেছে।

 

এসএম জিলানী আরও বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য নিজেকে সব সময় গণতান্ত্রিক দাবি করে। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নষ্ট করার জন্য ভারত প্রতিবার ষড়যন্ত্র করে আসছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত বারবার হস্তক্ষেপ করেছে। শুধু তাই নয়, ভারত সীমান্তে হাজার হাজার বাংলাদেশের জনগণকে গুলি করে হত্যা করেছে। অনতিবিলম্বে ভারত সীমান্তে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। ভারতকে বাংলাদেশ থেকে ইলিশসহ নানা কিছু উপহার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার বদলে ভারত আমাদের সাথে অসদাচরণ করে।

লংমার্চে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না,ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক এড আব্দুল মান্নান ও সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়াসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করেছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

Do You Like Your Playing Style? Try New Kill La Kill

There are many variations of passages of Lorem Ipsum available but the majority have suffered alteration in that some injected