মোঃ ইয়াছিন আরাফাত শান্ত (ভোলা প্রতিনিধি):-
ভোলার চরফ্যাশনের কোর্ট ইন্সপেক্টর ও জিআরও কর্তৃক বিচার প্রার্থী মানুষকে হয়রানী ও কোর্ট অবমাননার প্রতিবাদে ভোলার আইনজীবীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরফ্যাশনের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদলির জনিত কারণে চলে যাওয়ায় ২৮ নভেম্বর থেকে উক্ত কোর্টের দায়িত্বে রয়েছেন ভোলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-১ এর বিজ্ঞ বিচারক। কিন্তু চরফ্যাশন কোর্টের জিআরও এবং কোট ইন্সপেক্টর ভোলায় মামলার নথি নিয়ে কোর্টে আসছেন না। ফলে বিচারপ্রার্থী মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জামিন চাওয়া থেকে শুরু করে সকল আইনী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজ্ঞ বিচারক বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও তারা কোর্টের নির্দেশনা মানছেন না।
বক্তারা প্রশ্ন করেন তার খুটির জোর কোথায়? মূলত এই পুলিশ কর্মকর্তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষ্যাপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্র করছে। বক্তাগন বলেন, কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: মাসুম, জিআরও আবদুস সালাম ও নুর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিচার প্রার্থী জনগণকে হয়রানী করে আসছে। এই তিন দূর্ণীতিবাজের কাছে জনগন জিম্মি হয়ে চরম ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারপ্রার্থী জনগন আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। জিআরও ও কোর্ট ইন্সপেক্টর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কোর্টের অবমাননা করেছেন।
তাদেরকে অতিদ্রুত ভোলা থেকে অপসারণ করতে হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. এডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাছেত, এপিপি এডভোকেট মোঃ ইউসুফ হোসেন, দুদকের পিপি এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এপিপি এডভোকেট মেজবাহুল আলম, এপিপি এডভোকেট ফয়সল রাসেল, এডভোকেট আদিল মাহমুদ প্রমুখ।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মাসুম তালুকদার জানান, ভোলার চিফ জুডিশিয়াল আদালত থেকে নথি পাঠানোর কোনো আদেশ না পাওয়ায় মামলার নথি পাঠানো যাচ্ছে না। আদেশ পেলে জিআর মামলার নথি জেলা সদরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে।