কৃষিজমি ও পরিবেশ বাঁচাতে মাটির যত্ন নাও!

ডেস্ক রিপোর্ট :মাটি পরিবেশের অন্যতম মূল অংশ ও জীবনের ভিত্তি। মাটি ছাড়া মানুষের জীবন কল্পনা করা যায় না। মাটি কার্বন সিঙ্ক হিসাবে কাজ করে জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রশমিত করে। মাটি ভালো থাকলে ,ভালো থাকবে ধরিত্রী। ভালে থাকবে মানুষ। মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সচেতনতা তৈরী করতে বারসিক ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা অঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী প্রচারনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক‘র সহযোগিতায় ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সাধুপাড়া গ্রামে জনউন্নয়ন কেন্দ্রে সাধুপাড়া কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে “ মাটি বাঁচাতে যত্ন নাও” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তারাকান্দা উপজেলার ১৭ টি গ্রামের ২২ জন কৃষক কৃষানি,শতবাড়ির প্রতিনিধিগণ,মধুচাষী,জৈবকৃষি চর্চাকারীসহ সবুজ চিন্তার উদ্যোগী মানুষ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি নজরুল কলেজের অব: অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক কবি সম্পাদক জনাব সাব্বির রেজা, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান। পারিবারিক কৃষি,কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চ্চা,জৈবকৃষি চর্চ্চা,স্থানীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ ও ব্যবহার,মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ,রাসায়নিককে না বলা,কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, “ বিষ কীটনাশক ব্যবহার করে মাটিকে তামা করে ফেলেছি। মাটি আর মাটি নেই। মাটিকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে কীটনাশক,বালাই নাশক,রিফিট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে,পারিবারিক কৃষি চর্চা করতে হবে।” মধুচাষী কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “ আমরা মাটিকে আংরা বানাইয়া ফালাইছি, ব্যাঙ,মৌমাছি,কেঁচো,প্রজাপতি এগুলো আর মাটিতে নাই। মাটিতে আছে বিষ,পরিথিনে ভরা,কেঁচো নেই, মাটির গুণগত মান ভালো নেই, আমরা মাটির ফসল ফলাই আর সেই খাদ্য খেয়ে বেঁচে আছি তাই এর যত্ন নিতে হবে।”
প্রধান অতিথি জনাব সাব্বির রেজা বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমলে কৃষি নিরাপদ ছিলো। কৃষিকাজ সূচনা করেছিলো নারীরা আর এখন নারীরা কৃষিতে নেই। কৃষি চলে গেছে পুরুষের হাতে। কৃষি হয়েগেল বিষের কৃষি। আমাদের মাটি আজ অসুস্থ মাটিকে ভালে রাখতে হলে আমাদের রাসানিকের ব্যবহার কমাতে হবে। তা নাহলে আমাদের উর্বর মাটি বিষে পরিণত হবে।আর মানব সভ্যতাও বিপন্ন হবে। ”আলোচনা শেষে কৃষক দুলাল মিয়ার শতবাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করা হয়।