ফেনীতে অনলাইন জুয়ার টাকার জন্য গৃহকর্মী মাসুদা বেগম কে হত্যা।
মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
অনলাইন জুয়া খেলার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় গৃহকর্মী মাসুদা বেগমকে (৬৫) হত্যা করেছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ৪র্থ পর্বের ছাত্র আবির হোসেন রাফি (২০)।বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনীর পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।চট্টগ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে হাটহাজারী থানা এলাকা থেকে আবিরকে গ্রেফতার করা হয়।আবির আল রাফি নোয়াখালী সদর উপজেলার চর মটুয়া গ্রামের আনোয়ারুল হক মেম্বার বাড়ির মো.মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে।জয়িতা শিল্পী বলেন,মাসুদা বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে গ্রেফতার আবির হোসেন রাফি পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়,সে বেশ কিছু দিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলায় তীব্রভাবে আসক্ত ছিল।একপর্যায়ে জুয়া খেলার টাকা সংগ্রহের জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠে।রাফি তার বাবার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ কেনার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।ওই টাকাও সে জুয়া খেলায় নষ্ট করে ফেলে।হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিন ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাফি ফারুক কমিশনারের বাড়িতে চুরি করতে গেলে গৃহকর্মী মাসুদা বেগম দেখে ফেলে।একপর্যায়ে মাসুদা বেগম তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে রাফি ধারাল ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মাসুদা বেগমকে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পিবিআইয়ের ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধারসহ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতারে চেষ্টা করতে থাকে।ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনাসহ গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়।আসামির তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারে অভিযান চলাকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও রাফির পরিহিত গায়ের ফুলহাতা সাদা কালো রঙ্গের চেক শার্ট উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।আদালতের মাধ্যমে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।এর আগে,২৬ ডিসেম্বর ফেনী পৌরসভার ফলেশ্বর নামক স্থানে সাবেক (ফারুক)কাউন্সিলরের বাসার গৃহকর্মী মাসুদা বেগমকে (৬৫)ধারাল ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।ঘটনায় ছেলে মো.জাফর বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানার মামলা দায়ের করে।নিহত মাসুদা বেগম ধর্মপুর ইউনিয়নের পিঠাপাশারী গ্রামের মো.সিরাজের স্ত্রী।