ইবিতে খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায়

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খুলনা জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় নবীন এবং প্রবীণ বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের (টিএসসিসি) ১১৬ নং কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ‘র সভাপতিত্বে এবং রুপক ও সাদিয়া সাবরিনার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. আব্দুল গফুর গাজী, প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম ,শরিফুল ইসলাম জুয়েল সহ জেলার অন্যান্য নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এসময় সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বলেন, আমরা খুলনা জেলা কল্যাণের পক্ষ থেকে একটি বৃত্তি প্রকল্প চালু করতে চাই ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। দোয়া করেন খুব দ্রুত ইনশাআল্লাহ আমরা এর কার্যক্রম চালু করবো। যেখানে আপনাদের ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে খুলনা থেকে আগত গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে। এবং আপনাদের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি জেলা কল্যাণে বিভিন্ন প্রোগ্রামে যখন আপনাদেরকে ডাকা হবে আপনা অবশ্যই সাড়া দিবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাড়ি যদিও কুমিল্লা জেলা তবুও আমি খুলনা জেলাকে খুব ভালোবাসি। আমি খুলনায় ২০০৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করেছি।সেই সুবাদে খুলনাকে আমি চেনি।নবীন-প্রবীণ সবাইকেই বলবো আমরা কিভাবে আগাবো আমাদের কিছু দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। তাছাড়া চাকুরীতে যদি কোন সহযোগিতা লাগে ঢাকা, খুলনায় আমাকে জানাবেন আমি সহযোগিতা করবো। ক্যাম্পাসে,হলে বা মেসে যদি কোন সমস্যা হয় আমাকে জানাবেন আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করবো। আপনাদের এখানে কোন অভিভাবক নেই আমি আপনাদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবো। আপনাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে স্পন্সর হিসেবে সহায়তা করেন জনপ্রিয় মিডিয়া ও মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান “কন্টেন্ট লাগবে?” এবং খাদ্য সংক্রান্ত উদ্ভাবনী উদ্যোগ “মাচাং”। প্রতিষ্ঠান দুটির কর্ণধার মো. রিজওয়ান খান এবং তন্ময় হাফিজ ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক দুটি খেলাধুলার আয়োজন করেন, যা নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দঘন বন্ধনের সৃষ্টি করে।