কচুয়ায় মারধরের ১মাস ৬ দিন পর যুবকের মৃত্যু : বিচারের দাবি পরিবারের
মো: রাছেল, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়ার তেতৈয়া গ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ায় সুজন (২১) নামের এক যুবককে বৈদ্যুতিক খুটিঁর সাথে বেধেঁ অমানবিক নির্যাতনের ১ মাস ৬দিন পর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সুজন হত্যাকারীদের সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর সকালে তেতৈয়া গ্রামের অধিবাসী মৃত. আবু তাহেরের পুত্র সুজন একই এলাকার হারুনুর রশিদের পুত্র সাদ্দামের কাছে রাজমিস্ত্রী কাজের পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় উভয়ের। এসময় সাদ্দামের নেতৃত্বে হানিফ,ইউনুছ ও কেরামত আলীসহ বেশ কয়েকজন লোকজন সুজনকে তেতৈয়া আদর্শ মোল্লা মার্কেটের একটি বৈদ্যুতিক খুটিঁর সাথে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ দাবি করে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত সুজন স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের মা মরিয়ম বেগম জানান, আমার নিরপরাধ পুত্রকে মারধর করে জেলে পাঠায়। পরে ১১ ডিসেম্বর তার জামিনের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। অসুস্থ্য অবস্থায় ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দেয় এবং ৮ জানুয়ারি রাতে তার মৃত্যু হয়। আমি আমার ছেলে হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
নিহতের ভাই বিল্লাল হোসেন,মহসিন,সুমন সহ আরো অনেকে জানান, সুজন লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজ করত। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে তারা আমার ভাইয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করে পুলিশে দেয়। প্রতিপক্ষদের অমানবিক নির্যাতনের কারন ও চিকিৎসার অভাবে আমার ভাই মারা গেছে। খোঁজ খবর না নিয়ে উল্টো হামলাকারীরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আব্দুল হালিম জানান, বদরপুর গ্রামের একটি ইফতার পার্টিতে হামলা ও বাধার ঘটনায় সন্দেহমূলক আসামী হিসেবে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছিল। তবে আসামী মারা যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।