কাফির বাড়িতে আগুন: দোষীদের বিচার ও পুনর্গঠনের দাবিতে স্মারকলিপি

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্নির্মাণের দাবিতে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন কাফি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কাফি কলাপাড়া থেকে পটুয়াখালী এসে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গুমের আস্তানা ধ্বংসে জনগণের সঙ্গে ছিলাম। সে কারণেই স্বৈরশাসকের সহায়তাকারীরা অনেক আগে থেকেই আমাকে টার্গেট করেছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ওঁত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা সুযোগ বুঝে আমার বসতঘর, রান্নাঘর ও গরুর ঘরসহ আশপাশের সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আগুন লাগানোর সময় ঘরের ভেতরে আমার চার মাসের ভাতিজা, চার বছরের ভাতিজা, বাবা-মা, ভাই-ভাবি ছিলেন। ঘরের দরজা বাইরে থেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়ে চারপাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নই। তবে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে কোনো রকমে বের হতে সক্ষম হন। কোনো ডকুমেন্টস, দলিলপত্র, সার্টিফিকেট কিছুই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। কাফি বলেন, “আজ আমার বাড়ি পুড়েছে, কাল হয়তো অন্য কারও পুড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা এবং বিপ্লবী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সাত দিনের সময় দিচ্ছি। যদি দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় না আনা হয় এবং আমার ঘর পুনর্গঠনের কাজ শুরু না হয়, তাহলে আমি একাই রাজপথে দাঁড়াবো, একা লড়বো, প্রয়োজনে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেবো।”
এ ঘটনায় নুরুজ্জামান কাফি কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়ায় কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।