কার্তিকের অকাল বর্ষণে বালিয়াডাঙ্গীতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি;খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে
মোঃ মনিরুজ্জামান অনিক বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
আজ ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ রোজ শনিবার। চলছে বাংলা সনের সপ্তম মাস। এসময় প্রকৃতিতে শীত নামার কথা থাকলেও হচ্ছে বৃষ্টি।এ যেন প্রকৃতির এক লীলাখেলা।ফলে উত্তরের জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চলতি আমন ধানের চাষাবাদসহ বিভিন্ন রবিশস্য।
কার্তিক মাসের অসময়ে মাঝারী ও হালকা বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আমন ধান চাষাবাদ ও রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে শত শত কৃষক ও গৃহস্থ। কৃষি সংশ্লিষ্টরা এটিকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত, আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক ক্ষতি বলে মনে করছেন।
ফলন আশানুরূপ হলেও শেষ সময়ের বৃষ্টিতে অধিকাংশ মাঠের ধান মাটি ও পানির সাথে মিশে পড়ে একাকার।ক্ষতিগ্রস্থ নতুন রোপন করা অনেক আলুক্ষেতসহ নানা মৌসুমি ফসল।
এখানকার কৃষকেরা মাঠের আমন ফলন দেখে বুকে অনেক স্বপ্ন বুনেছিল। কিন্তু শেষমেশ পুরো ফলন ঘরে তোলা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে পড়েছে।
কারণ যেভাবে ভরা ফলন নিয়ে আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে তার আরও ভাল রাখা সম্ভব হবে না।নুয়ে পরা ধানের ওপর দিয়ে বৃষ্টির পানি বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বেশীর ভাগ ধান পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে বলে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের মত।
কৃষক ও গৃহস্থরা জানান চলতি মৌসুমে তিন দফা মৌসুমি রবি শস্য চাষাবাদে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।শীতকালীন তরিতরকারির ভরা মৌসুমে বাজারে প্রত্যেকটির দাম চড়া হওয়ার শংঙ্কাও রয়েছে। প্রকৃতির ওপর কারও হাত নেই। এখন যা হচ্ছে তার জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রাকৃতিক ক্ষতি। সামনে ধান,চালসহ এসব শীতকালীন শাক সবজির মূল্য আরও বাড়ার আশংকা স্থানীয়দের।
তাছাড়া অসময়ের অকাল বর্ষনের ফলে খেটে খাওয়া মানুষদের পরতে হয়েছে চরম বিপাকে।গত দুইদিন থেকে সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টির কারণে কোনো কাজ করতে পারছেন না।
টিপটিপ বৃষ্টিতে মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না।যার প্রভাব গিয়ে পরেছে অটো কিংবা রিকশাওয়ালাদের ওপর।যারা আগে যাত্রী পরিবহন করে আয় করতো আটশো থেকে একহাজার টাকা,তারা এই বৃষ্টির কারণে তার অর্ধেকও আয় করতে পারছেন না।
অসময়ের এই বৃষ্টির ফলে হুট করেই শীতের আগমন অনুভব করছে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষ।অনেকেই মনে করছে আর দেরি না করে শীতের পোশাক বা শীতের কাপড় বের করতে হবে।



