চুনতি অভয়ারণ্য রক্ষায় সকলের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
স্থানীয় প্রশাসন, বনবিভাগ, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও স্থানীয় মানুষের সমন্বিত উদ্যোগে রক্ষা পেতে পারে চুনতি অভয়ারণ্য। এছাড়াও অভয়ারণ্যের সীমানা নির্ধারন, অবৈধ দখলদার চিহ্নিতকরণ, উন্নয়নের নামে বনভূমি ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আজ বুধবার ৩০ এপ্রিল লোহাগাড়া উপজেলার স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত সভায় একথা বলেন বক্তারা। বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন লোহাগাড়া সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুল লায়েল ও বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূরজাহান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন বেলার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক মনিরা পারভীন। সভায় বক্তারা বলেন, বনকে রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের অভিশাপ দিবে। চুনতি অভয়ারণ্য থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাহাড়ের মাটি কাটা, বনভূমি দখল যারা করছে তাদের প্রতি যেন জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বনের ভেতর হাইব্রীড গাছ না লাগিয়ে বন্যপ্রাণীদের খাবার উপযুক্ত ফলদ গাছ লাগানো হয়। সভায় বক্তারা বলেন, চুনতি বনের আশপাশে ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করতে গিয়ে বনের ক্ষতি না করে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। পাশাপাশি হাতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া। হাতি ও মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সভায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন রেন্জ কর্মকর্তা গাজী বাহার উদ্দিন, বিট কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, অধ্যাপক পুষ্পেন চৌধুরী, অধ্যাপক মো.ইলিয়াছ, এশিয়ান টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্য মো.পারভেজ ও মোস্তফিজুর রহমান, মো. ফাহিম, মো. মানিক, লিটন দাশ, কুলসুম আক্তার।
এছাড়া বেলা’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ এম এম মামুন, ফারমিন ইলাহীসহ লোহাগাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।