চৌগাছায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অভিমানে স্ত্রী মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অভিমান একপর্যায়ে উভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্ত্রী মারা গেছেন আর স্বামী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। রোববার সকালে উপজেলার কাঁদবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের মাঙ্গিরপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেনের ছেলে আকাশ হোসেন (১৮) ও পার্শ্ববর্তী কাদবিলা গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে লিমা খাতুন (১৭) স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ও এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। উভয়ের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছু দিন পর উভয় পরিবার তাদের বিয়ের বিষয়টি মেনে নেয় এবং ছেলে মেয়ে তারা বাড়িতে ফিরে অসে। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানও করেন উভয় পরিবার মিলে।
গত তিন দিন আগে ছেলে আকাশ হোসেন আসে শ^শুর বাড়ি কাদবিলাতে। সেখানে তিন দিন খুবই ভালো ভাবে তাদের দিন কাটে। ঘটনার আগের রাতে তারা স্বামী স্ত্রী কোন একটি বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে যা তারাই জানে। সকাল হলে স্বামী আকাশ হোসেন শ^শুরবাড়ি হতে নিজ বাড়ি পাশের গ্রাম মাঙ্গিরপাড়ায় ফিরে যায়। স্বামীর চলে যাওয়া স্ত্রী লিমা খাতুন স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি। সে নিজ বাড়িতে ঘরে ঢুকে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দেয়। ঘর থেকে তার বের হতে দেরি দেখে বাড়ির সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখে তাদের মেয়ে লিমা খাতুন গলায় ফাঁস দিয়েছে। দ্রুত সেখান থেকে নামিয়ে দেখেন লিমা খাতুন মারা গেছে। এ খবর স্বামী আকাশের কাছে পৌছালে মুহুর্তে সে বাড়িতে থাকা ঘাসপোড়া কীটনাশক পান করে। আকাশের পরিবার কীটনাশক পানের বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নেয়া হয় যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে। যশোরে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আকাশের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
আকাশের পিতা উজ্জল হোসেন বলেন, তারা পালিয়ে যেয়ে বিয়ে করলেও আমরা উভয় পরিবার সেটি মেনে নিয়েছি শুধু মেনে নেয়া না পুনরায় বিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। তারা বেশ ভালই ছিলো কিন্তু কেন তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো তা কিছুই জানি না।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন উভয় পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরাদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।