ব্যাংক এশিয়ার স্টুডেন্ট একাউন্টে টাকা আটকে শিক্ষার্থী বিপাকে

স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতী এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এক শিক্ষার্থী। ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খোলা স্টুডেন্ট একাউন্ট সেভিংস একাউন্টে কনভার্ট হলেও হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় উত্তোলন অপশন। ফলে জমা টাকা ব্যাংকে থাকলেও তা তুলতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে তার পড়াশোনা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আজিজুল গাজী (একাউন্ট নং: 1081701000903)। তার বাবা শাহজালাল গাজী ও মা লাকী বেগম। তিনি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতী গ্রামের বাসিন্দা।
আজিজুল গাজী জানান, পূর্বে লেনদেনে কোনো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ এ বিপর্যয়ে তার পড়াশোনায় বড় ধাক্কা লেগেছে। তিনি বলেন, “আমার ভর্তি পরীক্ষার টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু টাকা ব্যাংকে আটকে থাকায় আমি জমা দিতে পারিনি। এতে আমার এক বছরের পড়াশোনা নষ্ট হয়ে গেল। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।”
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরাফাত বিল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন এবং সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বিষয়টি ব্যাংক এশিয়ার কাস্টমার সার্ভিস অফিসেও জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
হতাশাজনক অবস্থায় আজিজুল গাজী বলেন, এটিএম কার্ড কিংবা এজেন্ট পয়েন্ট—কোথাও টাকা তুলতে পারিনি। ৪ থেকে ৫ দিন ধরে চেষ্টা করেও সমাধান পাইনি। আমি চাই, ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আইনের আওতায় এনে এ ঘটনার বিচার করা হোক। না হলে আমি আন্দোলন চালিয়ে যাব।
স্থানীয়রা বলেন, ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং শাখাগুলোতে অব্যবস্থাপনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণ গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একজন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।