যেভাবে আর্দশ গ্রাম হয়ে উঠল লাঙ্গলকোটে “বড় সাঙ্গিশ্বর” গ্রাম।

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পেরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অন্তগত বড় সাঙ্গিশ্বর গ্রাম। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই গ্রামটি নাঙ্গলকোট থানার মধ্যে এক শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আজ গ্রামটি থানার মধ্যে শীর্ষ অবস্থা করেছে ।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের প্রয়োজন পড়ে, তখনই বড় সাঙ্গিশ্বর গ্রাম থেকে প্রথম আন্দোলনের সুচনা ঘটে । তার পরিপেক্ষিতে বড় সাঙ্গিশ্বর গ্রামটি বর্তমানে শিক্ষার দিক দিয়ে নাঙ্গলকোট থানার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে,। বর্তমানে গ্রামটিতে দ্রারিদ্যতার হার কমেছে, প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ রয়েছে। এছাড়া একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি আদর্শ এতিমখানা এবং প্রবাসী ঐক্য পরিষদ সংগঠক, আহসান স্মৃতি সংসদসহ আরো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সমাজ ব্যক্তিত্বএবিএম আহছানউল্লাহ মজুমদারের নেতৃত্বে এক শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে বড় সাঙ্গিশ্বর গ্রামটি আজ আমাদের মাঝে উদাহরন হয়ে দাড়িয়েছে।

এই গ্রাম রয়েছে অসংখ্য সফল ব্যক্তিবর্গ রয়েছে যারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত কাজ করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা জেলার সার্জারি বিভাগের প্রধান জনাব মো ডা.জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো: মাইন উদ্দিন মজুমদার , জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জনাব মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রদূত কার্যালয়ের শ্রম ও অর্থবিভাগের উপসচিব জনাব মো :আহাম্মেদ হোসেন ভূঁইয়া, এছাড়া ও রয়েছে সমাজ কল্যান অফিসার, অসংখ্য শিক্ষক, রাজনীতি বিদ, সহ আরো অনেক শিক্ষিত মানুষ। বড় সাঙ্গিশ্বর গ্রামে প্রতিটি মানুষই শিক্ষার আালোই আলোকিত, অসংখ্য মানুষ দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্স যুদ্ধা হিসেবে নিজের শ্রম দিয়ে গ্রামের অর্থনীতি, দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে,। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আজ নাঙ্গলকোট থানার মধ্যে বড় সাঙ্গিশ্বর গ্রামটি শীর্ষে অবস্থান করে উপজেলার মধ্যে এক উদাহরণ হিসেবে এই গ্রামটি রয়েছে।। এই শিক্ষার আলো যদি নাঙ্গলকোট থানার মধ্যে সকল গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সব গুলো গ্রামই শিক্ষার আলোই আলোকিত হবে ।