সারাদেশ

সহকারী জজ পরীক্ষায় দেশসেরা দ্বিতীয় স্থানে চবি’র তানিয়া

নয়ন চৌধুরী:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) আইন বিভাগের ২৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানা। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৭তম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। সারা দেশ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া ১০২ জনের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি এই ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবারের বিজেএস পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, যার মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে রয়েছেন তানিয়া।
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হিংগলা গ্রামের মাওলানা আবু তৈয়ব আনসারী ও রাজিয়া বেগমের ঘরে জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে উঠা তানিয়ার। ২০১৪ সালে রাউজান আরআরএসি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৬ সালে রাউজান সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে তৃতীয় স্থান এবং মাস্টার্সে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন তানিয়া।
ফলাফল প্রকাশের পর নিজের স্বপ্ন পুরণের গল্প শুনিয়েছেন তিনি। তানিয়া ছোটবেলা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। অপরদিকে পরিবারেরও স্বপ্ন তাকে বিচারক বানানোর। সেই লক্ষ্যেই তিনি একাগ্রতার সঙ্গে পথ চলতে থাকেন।
তানিয়া বলেন, এই সাফল্যের জন্য আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মা- বাবা ও পরিবারের সহায়তা ছাড়া এতদূর আসা কখনো সম্ভব হতো না। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এটার জন্য এবং শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতির নেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, অনার্সের শুরু থেকেই তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। যার ফলে এটি তার জন্য তুলনামূলক সহজ ছিল। তিনি বলেন, আমি যেহেতু আইনের ছাত্রী, তাই আমি প্রথমেই আইন দিয়ে শুরু করেছি। আইনে যেহেতু আমার পড়াশুনা তাই এই বিষয়ে খুব একটা গাইডলাইন দরকার হয়নি। কিন্তু জেনারেল বিষয়ে প্রস্তুতি নেবার সময় আমি প্রথমেই বিজেএস এর সিলেবাসটা ডাউনলোড করে মন দিয়ে সেটা পড়েছি। বিগত বছরের প্রশ্নগুলা বিশ্লেষণ করে দেখেছি কোন কোন জায়গা গুলা থেকে প্রশ্ন আসে। বিভিন্ন গ্রুপে বড় ভাইয়া আপুরা কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেটা দেখেছি।তারপর প্রতি সাব্জেক্ট এর বই সিলেকশন করেছি। এরপর এক বছর বা এর বেশি কিছু সময় সব অনুষ্ঠান, ঈদ বাদ দিয়ে শুধু পড়ালেখা করেছি। সবার সাপোর্ট থাকায় আমার এই জার্নিটা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি পাশাপাশি মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
মেয়ের সাফল্যে তানিয়ার বাবা মাওলানা আবু তৈয়ব আনসারী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, যখন জানতে পারলাম আমার সন্তান বিচারক হয়েছে, তখন আনন্দের অশ্রু থামাতে পারিনি। সে অনেক পরিশ্রম করেছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তার এই সফলতা আমাদের পরিবারের সকলের জন্য গর্বের বিষয়। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, সে যেন দেশের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে পারে।

You may also like

সারাদেশ

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হলেন সাব্বির আহমেদ সামাদ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার একনিষ্ঠ ও ত্যাগী ছাত্রনেতা সাব্বির আহমেদ সামাদ।
সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,