রাজনীতি সারাদেশ

সাতক্ষীরা সদরে ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ

মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা ::

সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সদালাপী, উদারমনস্ক, ক্লিন ইমেজের ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে যাঁর নাম সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়, তিনি আর কেউ নন—সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দুঃসময়ের বটবৃক্ষ হিসেবে তাঁকে সদর আসনের ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে দেখতে চায় জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুশীল সমাজ। অবহেলিত জনপদের মানুষ আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাঁকে ধানের শীষের এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গঠিত প্রথম মন্ত্রিসভার বস্ত্রমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আমৃত্যু সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. মুনসুর আলীর একমাত্র পুত্র। ছাত্রজীবনে তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সকলের স্নেহ ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে ওঠেন।

রাজনীতির হাতে খড়ি হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩০ নম্বর সদস্য হিসেবে স্থান পান তিনি। ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সাড়া ফেলেন। ১৯৮৪ সালে কানাডায় অবস্থিত এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০০৩ সালে পিতার মৃত্যুর পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ভঙ্গুর সংগঠনকে সুসংগঠিত করে শক্তিশালী জেলা বিএনপিতে রূপ দেন।

২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত দমনে সারাদেশে চালানো কিলিং মিশনে সাতক্ষীরা ছিল অন্যতম টার্গেট। সেই সময় জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব দেন রহমত উল্লাহ পলাশ। ২০১৭ সালে তাঁকে পুনরায় জেলা বিএনপির সভাপতি মনোনীত করা হয়।

০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জেলা বিএনপিতে অস্থিরতা ও গ্রুপিংয়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের চাওয়া অনুযায়ী শহীদ জিয়ার আদর্শে গঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে গঠিত এই কমিটি জেলা বিএনপিকে নতুন করে সংগঠিত করে।

শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জি. এম. আজিজুর রহমান শাওন বলেন, “সাতক্ষীরা জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে রহমত উল্লাহ পলাশের বিকল্প নেই। আমরা যুবসমাজ তাঁকে সদর আসনের ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে দেখতে চাই।”

জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, “তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে ও জেলা বিএনপিকে কর্মীবান্ধব করতে পলাশ ভাইয়ের প্রয়োজন। অবহেলিত সাতক্ষীরাকে মেরামত করতে তাঁর মতো সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতাকে আমরা এমপি হিসেবে দেখতে চাই।”

উল্লেখ্য, ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বিএনপিতে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা ও গ্রুপিংয়ের রাজনীতি। সাতক্ষীরায় একের পর এক কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে একই দলের দুটি পক্ষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি হয় ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে তারেক রহমান জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে তরুণ নেতৃত্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে নতুন আশার সঞ্চার করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সারাদেশ

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হলেন সাব্বির আহমেদ সামাদ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার একনিষ্ঠ ও ত্যাগী ছাত্রনেতা সাব্বির আহমেদ সামাদ।
সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,