সুবিদখালীর কর্নিয়া কোচিংয়ে সাফল্যের ঝড়; সরকারি নার্সিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালীতে অবস্থিত কর্নিয়া এডমিশন ও একাডেমিক কোচিং সেন্টার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। এই কোচিং সেন্টার থেকে চলতি বছর ৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি নার্সিং কলেজে এবং ১ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভুক্ত ‘A’ ইউনিটে চান্স পেয়েছে। এই সাফল্য শুধু প্রতিষ্ঠানটির নয়, গোটা অঞ্চলের জন্যই একটি বড় অনুপ্রেরণা।
কোচিংয়ের পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, কর্নিয়া সুবিদখালী শাখাটি সরাসরি ঢাকা থেকে পরিচালিত হয় এবং এখানকার শিক্ষার্থীরা রাজধানী কিংবা বিভাগীয় শহরে থাকা শিক্ষার্থীদের সমমানের সেবা পেয়ে থাকে। তাঁর ভাষ্য মতে, “একজন শিক্ষার্থী যদি ঢাকা, বরিশাল বা পটুয়াখালী শহরে গিয়ে যেই সেবা পায়, সেই সেবা আমরা এই শাখা থেকেও নিশ্চিত করি।” এই কারণেই প্রতিবছর এখানকার শিক্ষার্থীরা সরকারি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা পাচ্ছে।
গত তিন বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২২ ব্যাচ থেকে ১ জন, ২০২৩ ব্যাচ থেকে ৩ জন এবং চলতি ২০২৪ ব্যাচ থেকে ৩ জন নার্সিং ও ১ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। একটি উপজেলা পর্যায়ের এলাকা থেকে এমন ধারাবাহিক ফলাফল অনেকের কাছেই অভাবনীয় মনে হলেও, কর্নিয়া কোচিং সেটিকে বাস্তবে পরিণত করেছে। এই সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের নিবেদন এবং শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমই মূল চালিকা শক্তি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।
নার্সিং চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী নাইমা জান্নাতির মা বলেন, “প্রথমে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে, সুবিদখালীতে এমন একটি মানসম্পন্ন কোচিং সেন্টার রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখি প্রতি বছরই এখানকার শিক্ষার্থীরা চান্স পাচ্ছে। তখন মেহেদী স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার আন্তরিকতা এবং গাইডলাইনের ওপর বিশ্বাস রেখে মেয়েকে ভর্তি করাই। আল্লাহর রহমতে ফলাফল আশানুরূপ হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের মা বলেন, “মেহেদী স্যার আমার ছেলের জন্য ছিলেন একেবারে অভিভাবকের মতো। সময় না পেলে রাতেও পড়াতে আসতেন। আমি তার জন্য চা নিয়ে বসে থাকতাম। পরীক্ষার স্থান নির্বাচন থেকে শুরু করে কোথায় কীভাবে পরীক্ষা দিবে, সব সিদ্ধান্ত মেহেদী স্যারই নিতেন। এমনকি ভর্তি পরীক্ষার সময় তিনি নিজে শিক্ষার্থীদের রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে নিয়ে গেছেন। ছেলের সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব ওনার।”
কোচিং পরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী বছর আরও বেশি প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে এগোবে কর্নিয়া কোচিং। এলাকার মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এভাবেই কাজ করে যেতে চান তিনি।