স্পেন প্রবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, কুমিল্লায় হয়রানির শিকার আইনজীবীর পরিবার

জেলা প্রতিনিধি,কুমিল্লা।।
কুমিল্লায় এক আইনজীবী ও তার পরিবারকে চাঁদাবাজির মিথ্যে অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্পেন প্রবাসী শাহাদাত হোসেন রনি ও তার বাবার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন রনি নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
অ্যাড. তৌহিদ বিন আবসার ঢাকা ক্যানভাস
অনলাইনকে বলেন, আমার পার্শ্ববর্তী ভূমিতে স্পেন প্রবাসী শাহাদাত হোসেন রনি আমার বড় ভাই সাইফুল বিন আফসারের কাছ থেকে জমি কিনে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ওই সময় তিনি ও তার বাবা মকবুল হোসেন ভবন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের পাশে আবশ্যক উন্মুক্ত স্থান না রেখে কোনো রূপ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এ বিষয়গুলো সমাধানের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হলে মকবুল হোসেন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নানা রকম হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৮ মে আমার ভাই সাইফুল বিন আফসার কুসিকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৯ জুলাই নির্মাণাধীন ভবন থেকে মালামাল পড়ে আমার বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে কুসিকে জানালে মকবুল হোসেন উলটা আমাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হাজতে পাঠাবে বলে হুমকি প্রদান করেন। এরপর এ বিষয়ে আমি কোতয়ালী মডেল থানা ও কুসিকে লিখিত অভিযোগ করি। এরপর কুসিক কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে শাহাদাত হোসেন রনির ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য লিখিত নোটিশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, কিন্তু তারা কুসিকের নোটিশ অবজ্ঞা করে কাজ চলমান রাখেন। ফলে এ বিষয়ে পুনরায় অভিযোগ করলে কুসিক কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় নোটিশ প্রদান করেন এবং সরেজমিনে ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। মকবুল হোসেনকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়ে যান। এর মধ্যে মকবুল হোসেন সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমার বড় ভাইয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অ্যাড. তৌহিদ বিন আবসার বলেন, পরবর্তীতে মকবুল হোসেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে দুই নোটিশকে পাত্তা না দিয়ে নির্মাণ কাজ আবার শুরু করলে আমরা দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত শাহাদাত হোসেন রনি ও তার পিতাকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি তদন্ত চলাকালীন সময়ে কোতয়ালী থানার ওসি আমার বড় ভাই সাইফুল বিন আফসারকে গ্রেফতার করেন।
তিনি আরও বলেন, শাহাদাত হোসেন রনি স্পেন প্রবাসী হওয়ায় নানাভাবে আমাদের হয়রানি করছেন। তিনি সম্প্রতি দুয়েকটি অনলাইনে আমাদেরকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে ভুল তথ্য সরবরাহ করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন উপায়ে সামাজিকভাবে আমাদের সম্মানহানি করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছি। আমরা আশা করছি প্রশাসন এ বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে স্পেন প্রবাসী শাহাদাত হোসেন রনির মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।