হিন্দু মানে নৌকা নয়, হিন্দু মানেই দাঁড়িপাল্লা….মিয়া গোলাম পরওয়ার

মোঃ খলিলুর রহমান, সাতক্ষীরা ::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম পরোয়ার বলেছেন, একজন বিএনপি নেতা, যার বাড়ি নোয়াখালী, তিনি বলেছেন—বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আওয়ামী লীগের মতো জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতা যদি এমন কথা বলেন, তাহলে তো বিএনপির কণ্ঠে আওয়ামী লীগের সুর শুনতে পাচ্ছি। বিএনপির কণ্ঠে ফ্যাসিবাদের সুর শোনা যায়। তাই আমাদের শান্ত থাকতে হবে। তারা পায়তারা করবে, গণ্ডগোল করবে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলবে, হামলা করবে—আমরা আমাদের প্রিয় নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মতের মতো অসীম ধৈর্য নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত স্থির থাকব। ধৈর্যের বিনিময়ে বিজয় আমরা অর্জন করব, ইনশাআল্লাহ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরার তালায় অনুষ্ঠিত ছাত্র-যুব সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এনপিপির উদ্দেশে গোলাম পরোয়ার বলেন, তোমরা নতুন ছাত্রদের দল। জামায়াতে ইসলামী’র সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে তোমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না। নতুন গঠিত ছাত্রদের একটি দলের নেতা দুঃখজনক একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কার চায় না, জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নতুন সংবিধান সংলাপে ভূমিকা রাখেনি। অথচ ঐক্যমত কমিশনে লিখিতভাবে ছয়টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আমরাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিয়েছি। তারা চাচ্ছেন আমরা যেন তাদের সমালোচনা করি—কিন্তু কেউ তো তাদের নামই নিচ্ছে না।
অধ্যাপক গোলাম পরোয়ার বলেন, একটা ধারণা আছে হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ, হিন্দু মানেই নৌকা। আমি বলি না, এবার হিন্দুরা দেখিয়ে দেবে—হিন্দু মানে নৌকা নয়, হিন্দু মানেই দাঁড়িপাল্লা। তালা ও কলারোয়ার হিন্দুরা যদি দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেন, তাহলে তারা অতীতের সব শাসন থেকে নিরাপদে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও: মফিদুল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ,খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জেলা জামায়াতের আমীর শহীদুল ইসলাম মুকুল, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাও: আজিজুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারী অধ্যাপক সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুবায়ের হোসেনসহ অন্যরা।