ছাতকে এক যুগ পর আদালতের মাধ্যমে দোকান পেলেন আব্দুল দয়াছ

স্টাফ রিপোর্টার,সুনামগঞ্জ:
ছাতকে আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রীর এম এ মান্নানের নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামীলীগের উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির সভাপতি রেজা মিযা তালুকদার ও হিরক মিয়া তালুকদার, আব্দুল আলী,আনফর আলী,ছালিক মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপুবক দখলের চেষ্টা চালায়।
এ দোকান দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন দুপক্ষের জমি দলিল ও কাগজপত্র জব্ধ করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। । আদালত প্রবাসী আব্দুল দয়াছের দলিল ও কাগজপত্র সঠিক থাকলে আওয়ামীলীগ নেতা সুনামগঞ্জের এম এ মান্নানের নাম ভাঙ্গিয়ে আদালতে মামলার রায় আটকিয়ে রাখা হয়। অবশেষে সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে প্রবাসী আব্দুল দয়াছ ও রওশন খান সাগরের পক্ষের আদালত রায় ঘোষনা করেন। বোববার দুপুরে ছাতক উপজেলার সহকারি কমিশনার ভুমি মোহাস্মদ আবু নাছির ও থানার এস আই কামাল আহমদ,ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নুর উদ্দিন,সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন,অর্থ সম্পাদক শোয়েব আহমদ,এম এ আলমগীর,ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ,রুবেল আহমদ সরদার,সাজ্জাদ আহমদ ও এলাকার গনমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে এক যুগ ধরে তালাবদ্ধ দোকান ঘরটি অবশেষে তালা ভেঙ্গে প্রকৃত জমি দোকান ঘরটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়,জাউয়াবাজারে জহুরা ফামেন্সির পাশে প্রবাসী আব্দুল দয়াছ ও রওশন খান সাগর যৌথভাবে ২০ (বিশ) ফুট লম্বা এবং ১৮ (আঠার) ফুট প্রস্থ দোকান ঘরটি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখলের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সন্ত্রাসী ভুমি খেকোর কবল থেকে এক যুগ পর আদালতে মাধ্যমে ফিরে পেয়েছেন আব্দুল দয়াছ।
উপজেলার জাউয়া মৌজাস্থ জে এল নং- ৩৩৩ খতিয়ান (এস এ) ৩৭ দাগ নং- ৫২ (এস এ) সাবেক বাড়ী বর্তমানে দোকান। ভীট রকম ভূমি, পরিমাণ- ০.০২২৫ একর ভূমি হিরন খান ও আব্দুল জলিল গত ১৯৮৮ সালে ১০ জানুয়ারি ২৫৪ নং রেজি: দলিলমূলে যৌথভাবে খরিদ করেন। পরবর্তীতে তারা তাদের নামে নামজারী করেন। বর্ণিত ভূমি খরিদের পর আব্দুল জলিল তার প্রাপ্ত অন্যান্য সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে বাটোয়ারা করে দেন।
গত ২০০৬ সালে ৩০ মার্চ তারিখে দোকান কোঠার অংশ আন-রেজিস্টারী হেবা মাধ্যমে তার বাবা ছেলে আব্দুল দয়াছকে দান পত্র করে দেন। অপর দিকে হিরন খান তার একমাত্র পুত্র রওশন খান সাগরকে উত্তরাধিকারী হিসেবে রেখে মৃত্যু বরণ করেন। আব্দুল দয়াছ ও রওশন খান সাগর যৌথভাবে ২০ (বিশ) ফুট লম্বা এবং ১৮ (আঠার) ফুট প্রস্থ একদিকে বারান্দাসহ দোকান ঘর তৈরি করেন। দোকান ঘরটি আসক আলী ও তার ভাই আজরক আলীর নিকট ভাড়া প্রদান করেন। পরবর্তীতে বর্নিত ভাড়া গ্রহীতাগণ বর্ণিত ভাড়া দাতাগণের অনুমতি সাপেক্ষে সুরুজ আলী আইয়ূব আলীর নিকট ভাড়া প্রদান করে।
আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হয়রানি করেছে ভোক্তভোগি আব্দুল দয়াছ ও রওশন খান সাগরকে। ২০১২ সালে ৩০ আগষ্ট তারিখে ২৮৫১/২০১২ দলিলমূল্যে এ মামলার স্বাক্ষী আব্দুল দয়াছের পিতা আব্দুল জলিল ওয়ারিশ আলী নিকট হতে নালিশা ভূমির ০,১১২৫ একর দোকান ভীটা রকম ভূমি ক্রয় করেন।
রায়ে বলা হয়,নালিশা ভূমির রিসিভার প্রত্যাহার করা হলো। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছাতককে ১ম পক্ষের দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। নালিশা ভূমির দখল সম বুঝিয়ে দেওয়ায় নিমিত্ত আইন-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ওসি ছাতককে বলা হলো আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রেরণ করা হয়।
এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সহকারি কমিশনার ভুমি আবু নাছির।