হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় জেলেকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা

মামুন রাফী, স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক জেলেকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে।
এতে নলচিরা ইউনিয়নের ফরাজি গ্রামের বাসিন্দা ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবদুরব কে প্রধান আসামী করে তার দুই ছেলে মহব্বত ও রিয়াদ সহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নলচিরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মহি উদ্দিনের ছেলে মোঃ রুবেল উদ্দিন (৪৮)। তিনি নলচিরা ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে মাছ ধরেন।
জানা যায়- নদীতে এই মৌসুমে ছোট মাছ ধরার জন্য জেলেরা জাল বসান।কিন্তু সেই জাল বসানোর স্থান (হার) দখলে রেখেছে আ.লীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার আবদুরব।
তাছাড়া- তার নিকট মাছ বিক্রি করলে সেই হারে জাল বসাতে পারে যে কেউ।কিন্তু শর্ত হলো তার নিকট মাছ বিক্রি করতে হবে নয়তো হারে জাল বসানো যাবে না।
কিন্তু জেলেরা জানান তার নিকট মাছ বিক্রি করলে ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না।বাজারে চিংড়ির দাম ২০০-৩০০ থাকলে ও তার নিকট ১৫০টাকায় বিক্রি করতে বাধ্যহন জেলেরা।কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করলে হারে আর জাল বসাতে দেন না আব্দুরব মেম্বার সহ তার সহযোগীরা।
এর মধ্যে বেশির ভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যার কারণে তারা নিরবে সবই মেনে নিচ্ছে।
কিন্তু ভুক্তভোগী রুবেল মাঝি একদিন অন্যত্র মাছ বিক্রি করলে সৃষ্টি দ্বন্দ্ব যার সুত্র ধরে এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে আব্দুরব মেম্বার ও তার ছেলে সহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত আসামি।
ভুক্তভোগী রুবেল উদ্দিন জানান- গত বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ৬টার সময় আফাজিয়া বাজারের পশ্চিমে নলচিরা ফাঁড়ি থানার পাশে মাছ বিক্রি করার জন্য বাজারে আসলে আসামীরা বলে তাদেরকে আড়তে মাছ দেওয়ার জন্য।তিনি কম মূল্যে মাছ দিতে অস্বীকার করলে আবদুরব মেম্বর তার জামার কলার ধরে তাকে কয়েকটি কিল, ঘুষি থাপ্পর মারে। এবং আবদুর রব মেম্বারের ছেলে তার গলা টিপে শ্বাসরোধ ক্রমে প্রানে হত্যার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছেন ।
তিনি আরো জানান- আবদুরব মেম্বার তার পরিহিত লুঙ্গির প্যাচে থাকা মাছ বিক্রিত এবং এম,ভি আওলাদের স্টাফদের (২,৭০,০০০)টাকা জোর পূর্বক অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় নিয়ে যায়। তার ছেলে মহব্বত ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত টার্চ মোবাইল যার মূল্য ২০,০০০টাকা সেটিও কেড়ে নিয়ে যায়।
অভিযুক্তদের মরধরে রুবেল উদ্দিন আহত হলে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুরব মেম্বার জানান- ঐই দিন তিনি ছিলেন না এবং রুবেল উদ্দিন চাঁদা চাওয়ায় তারা হাতিয়া থানায় অভিযোগ করেন। এবং তাকে মারধরের বিষয় টি অস্বীকার করেন।
হাতিয়া থানার এস আই মকবুল বলেন-অভিযোগের বিষয় টা তদন্ত করতে আজ গিয়েছেন কিন্তু বিস্তারিত এখনো শেষ করতে পারেন নাই তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান- বিষয় টা উনি শুনেছেন কিন্তু উনি নিঝুম দ্বীপে একটা বিশেষ কাজে যাওয়ার জন্য এস আই মকবুল তদন্ত করবে।