মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে – ছাত্র হত্যা মামলার আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

হোসাইন মাহমুদ, মাদারীপুর প্রতিনিধি
৫ আগস্ট বৈষম্যেবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার আসামিকে ধরে ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে, স্থানীয়দের মধ্যে এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনার ঝড়। কেউ বলছে ছিনিয়ে নেওয়ার নাটক করে আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, আসামিপক্ষের লোকজন বাধা দেওয়ায় আসামিকে ধরা যায়নি। এ ঘটনায় ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে উল্লেখ করেও কাজে বাধা দেওয়ায় একটি মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহিদ সন্ন্যামাত হত্যা মামলার ৩১ নম্বর আসামি সালাউদ্দিন খান ওরফে ছালাই খানকে পুলিশ একাধিকবার ধরতে অভিযান চাললেও ধরতে পারেনি। ৩ মার্চ (সোমবার) বেলা ১১টায় সাদা পোশাকে মোটরসাইকেল টহল পুলিশ তালতলা এলাকায় গিয়ে ছালাই খানের সন্ধান পায়। দুই মোটরসাইকেলে ৩ জন এসআই ও একজন পুলিশ সদস্য মিলে ছালাই খানকে আটক করে তালতলা বাজারের একটি দর্জির দোকানে। আসামিকে নিয়ে বসে গাড়ি পাঠানোর জন্য বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা। উৎসুক লোকজন ঐ দোকানের পাশে ভিড় জমাতে থাকেন। পুলিশের কাছে হাতকড়া থাকলেও রহস্যজনক কারণে হাতকড়াও পরানো হয়নি আসামিকে। ধীরে ধীরে লোকজনের ভিড় বাড়ার সুযোগে ছালাইয়ের লোকজন পুলিশের সামনে থেকে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মাদারীপুর মডেল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান জানান, আমাদের পুলিশ সদস্যরা অনেকদিক ধরেই ছালাই খানকে ধরার চেষ্টা করছে। সোমবার থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য তালতলায় ছালাই খানের সন্ধান পায়। তখন তারা ছালাই খানকে ধরতে গেলে লোকজন বাঁধা দেয় এই সুযোগে ছালাই খান পালিয়ে যায়। আমরা ৩ জনকে আটক করে নিয়ে আসি। এখনও ছালাই খানকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামি ধরতে গেলে পুলিশকে বাঁধা দেয় আসামির লোকজন। এতে পুলিশের সাথে বাঁধা দেওয়া লোকজনের সাথে ধস্তাধস্তি হলে আমাদের ৪ পুলিশ আহত হয়। তাদের সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে পরে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি আমি শুনেছি আসামি ছিনতাইয়ের এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে সোমবার এ ঘটনার পর বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়,ঐ এলাকা সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, আমি জানতে পেরেছি হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আমার পুলিশকে বাধা দেয়া হয়েছে। এতে আসামি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে এবং ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।