রায়পুরে প্রতিমা ভাংচুরকারিকে ২৪ ঘন্টার পূর্বে আটক করে পুলিশ

মাহমুদ সানি, রায়পুর ( লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে মহামায়া মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরকারিকে ২৪ ঘন্টার পূর্বে রায়পুর থানার অভিযানে আটক করে।
প্রতীমা ভাঙচুরকারী সেই অভিযুক্ত যুবক জাকির হোসেনকে (২২) শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার চরমোহনা গ্রাম থেকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ। তিনি চরমোহনা ইউনিয়নের চরমোহনা গ্রামের মালেগো বাড়ির মনির হোসেনের ছেলে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলার রায়পুর পৌর শহরের শ্রী শ্রী মহামায়া মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই জাকির হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়।
জাকির হোসেনের বাবা মনির হোসেনের দাবী তাঁর ছেলে দীর্ঘদিন থেকে মানসিক রোগি হিসেবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরোও বলেন,জাকির হোসেন রমজান আসলে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাই না। শুক্রবারের দুপুরে রায়পুর থানার পুলিশ আমার বাড়িতে যাওয়ার জানতে পারি, সে রায়পুরে মহামায়া মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করে। আমি আশ্বস্ত করি জাকির বাড়িতে আসলে, আমি নিজে জাকির থানা দিয়ে আসবো।
রায়পুর লোকনাথ সেবা সংঘের সভাপতি বিদ্যুৎ পাল বলেন, জাকির বাবা মিথ্যা কথা বলছেন তার ছেলে মানুষিক রুগী। সে কীভাবে মানুষিক রুগী, যে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে, চারদিকে তাকিয়ে, কেউ আছে কিনা, তারপর প্রতিমা ভেঙ্গে, নির্দিষ্ট স্থানে রেখে, পালিয়ে যায়। আমরা চাই যেন পাগল বলে বিচারের হাত থেকে রেহাই না পায়। তাকে দ্রুত বিচারের আইনে বিচার করতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের হিন্দু ৮% , যারা রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক বলেন, আপাতত তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে কিনা সব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার মহোদয় থানা উপস্থিত আছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হলে জানানো হবে।