স্কুল ছাত্রী অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ঐশী মন্ডল (১৫) স্কুলে যাওয়ার পথে জোরপূর্বক অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েকে হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছেন বাবা-মা।
এ নিয়ে নাজিরপুর থানায় বাদী হয়ে বাবা লিটন মন্ডল একটি অপহরণ মামলা করেন। অভিযুক্ত নয়ন শিকারী ও মেয়েকে উদ্ধারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ২ মার্চ (রবিবার) সকাল ১০ টায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চৌগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেয়ের বাবা ৪ জনকে আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো, নয়ন শিকারী, সুজিত শিকারী, চয়ন শিকারী, অজিত শিকারীসহ অজ্ঞাত ৩জন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নয়ন শিকারী দীর্ঘদিন ধরে ঐশীর বাড়ীতে দিনমজুর হিসেবে কৃষি কাজ করত। এক পর্যায়ে ঐশী ও নয়নের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ২ মার্চ ঐশী স্কুলে যাওয়ার পথে নয়ন কয়েকজন বখাটে ছেলেদের সাথে নিয়ে ঐশীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং শাঁখা-সিঁদুর পরিয়ে একটি ছবি ভাইরাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মেয়ের মা কবিতা মন্ডল জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিন যেভাবে স্কুলে যায়, সেদিন ২ তারিখও একইভাবে স্কুলে গেছে। স্কুল থেকে নিখোঁজ আমার মেয়ে। আমি প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকি আমার মেয়ে কখন ফিরবে।
মেয়ের দাদু নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন, থানায় গিয়ে আমি কোন বিচার পাই নাই, ১৫-১৬ দিন আমাকে থানা পুলিশ ঘুরাচ্ছে, তারা আমার নাতনিকে উদ্ধার করে দিচ্ছে না,তারা যেভাবে বলছে আমি সেভাবেই কাজ করছি। আমার নাতনিকে না পেলে আমি আত্মহত্যা করব।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক বিপুল মৃধা বলেন, ঐশি অনেক মেধাবী। ও আমার ছাত্রী, আমি শুনেছি একদল সন্ত্রাসী ওকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভূইয়া (১৫ মার্চ) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নয়ন শিকারী মামলার বাদী লিটন মন্ডলের বাড়িতে কৃষি কাজ করার সুবাদে ঐশী ও নয়নের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ এক পর্যায়ে ঐশী স্কুলে যাওয়ার নয়ন তাকে তুলে যায়। এ বিষয়ে থানায় নারী শিশু আইনে মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ভিক্টিমকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে পারবো।