পাথরঘাটায় ক্রয়কৃত জমিতে ৮ বছর পরে চাঁদা দাবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা।
বরগুনার পাথরঘাটায় জমি ক্রয়ের ৮ বছর পরে জমির দাতার ছেলেদের বিরুদ্ধে চাদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আলমগীর মোল্লা ও জাহাঙ্গীর মোল্লার বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনায় শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নূর হোসেন মোল্লার ছেলে।
মোঃ শহিদুল ইসলাম মন্ঠু হাওলাদারের নেতৃত্বে মানববন্ধন বক্তব্য দেন মোঃ ওমরা ফারুক, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ রুবেল মিয়া, মোঃ গোলাম সবুর টুলু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলমগীর হোসেনে মোল্লার বাবা নুর হোসেনের মোল্লার কাছ থেকে ৭১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আনিসুর রহমান জুয়েলের বোনজামাই মোঃ মিজানুর রহমান। ২০১৭ সালের ১৩ জুন পাথরঘাটা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ওই দলিল সম্পাদন হয়। এ দলিলে নূর হোসেন মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা পরিচিতি দেন। এবং নূর হোসেন মোল্লা নিজে জমি মেপে বুঝিয়ে দেন, এরপর থেকে ভোগ দখলে ছিল আনিসুর রহমান জুয়েলের বোন জামাই মিজানুর রহমান। তবে ওই জমি ক্রয়ের ৮ বছর পরে বর্তমানে আলমগীর মোল্লা ওই জমি বাবদ একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। এছাড়াও আলমগীর মোল্লা মিথ্যা মামলা দিয়ে আনিসুর রহমান জুয়েলকে হয়রানি করছেন।
বক্তার আরো বলেন, আলমগীর হোসেন মোল্লা ও তার ভাই জাহাঙ্গীর মোল্লা দুজনেই বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে এলাকায় আধিপত্য ও দাপটের সাথে চলাফেরা করেছে। এখন ৫ আগস্টের পর বিএনপির সাথে থেকে প্রভাব খাটিয়ে আগের মতো দাপটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
তার বাবার জমি বিক্রি করে বিক্রেতাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পরে সেই জমিতে চাঁদা দাবি করাটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং আনিসুর রহমান জুয়েলের মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মানববন্ধনে আনিসুর রহমান জুয়েল বলেন, আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। জমি কেনার পর সেই জমিতে চাঁদা দিয়ে থাকতে হবে এ কেমন স্বাধীন দেশে আমরা বসবাস করি। এই জমি আমার বোন জামাইয় ৮ বছর আগে নূর হোসেন মোল্লার কাছ থেকে ক্রয় করেছে। আমি সেই জমি দেখা শুনা করে আসছি এবং জমিতে মাটি কাটার জন্য গেলে আমাকে সহ আমার শ্রমিকদের উপরে হামলা করে জাহাঙ্গীর মোল্লা, আলমগীর মোল্লা ও মাসুম বিল্লাহ।
অথচ উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। আমি ওই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলমগীর মোল্লা বলেন, আমি এখন মানুষ জনের মধ্যে আছি। পরে ফোন দিয়েন কথা বলবো, পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।