পুলিশের চুরি যাওয়া পিস্তলের খোঁজ মেলেনি: দুই চোর শনাক্ত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার চুরি যাওয়া সরকারি পিস্তল গত ৫ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এতে পিস্তল চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দুই চোরকে শনাক্ত করা গেলেও তাদের নাগাল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গত ৫ মে ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার বাসার দরজার তালা ভেঙে দুটি ম্যাগজিনসহ গুলিভর্তি সরকারি পিস্তল নিয়ে যায় চোরের দল।

দিনের বেলায় এমন ঘটনা ঘটলেও ওই সময় বাসায় ছিলেন না পুলিশের এই কর্মকর্তা। তার দাবি চোরের দল বাসায় থাকা ব্রিফকেস ভেঙে পিস্তল, ১৬ রাউন্ড গুলিভর্তি দুটি ম্যাগজিন এবং নগদ ১০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। তবে থানা থেকে মাত্র ১ শ গজের মধ্যে চারতলা একটি বাড়িতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাড়িতে আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভাড়া থাকেন।

তার মধ্যে উপ-পরিদর্শক রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার কক্ষে সরকারি পিস্তল চুরির ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। সঙ্গে দানা বাধছে নানা রহস্যও। এই ঘটনা জানাজানি হলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ওই উপ-পরিদর্শককে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি বেশ স্পর্শকাতর।

প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হয়ে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক দল ও গোয়েন্দা সংস্থা। তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। যা থেকে দুজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ এখন তাদেরকে খুঁজছে।

এদিকে, ঘটনার দিনের ওই সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মুখে দাড়ি, পাঞ্জাবি পরা এবং চেক শার্ট পরা দুই যুবক ওই উপ-পরিদর্শকের বাসায় যায় এবং পিস্তল ও ম্যাগজিন নিয়ে দ্রুত পায়ে চলে যায়।

তবে সন্দেহজনক এই দুজনকে শনাক্ত করা গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে তারা। ফরিদগঞ্জ বাজারের পশ্চিম মাথায় থানার সামনের সড়ক দিয়ে ডাকবাংলোর দিকে যায়। তার একটু আগে মূল সড়কের পাশে এবং থানা থেকে মাত্র ১ শ গজের মধ্যে চারতলা বাড়িতে প্রবেশ করে ওই দুজন। পরে কয়েক মিনিটের মাথায় একই সড়ক ধরে বাজারের দিকে চলে যায় তারা।

বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আগে থেকেই হয়তো ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে জানাশোনা ছিল যুবকদের। যে কারণে বাসায় তার অনুপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে পিস্তল, গুলি ও কথিত নগদ টাকা নেওয়ার মতো এমন দুঃসাহসিক এই কাণ্ড করে। এমন পরিস্থিতিতে সংগ্রহ করা ছবির ওই দুই যুবকের পরিচয় কেবল পুলিশ কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ভূঁইয়া নিশ্চিত করতে পারেন।