বাড়ছে পানি পদ্মার ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী মানুষ

শিমুল তালুকদার
সদরপুর ( ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই পদ্মার ভাঙ্গন আতংকে থাকেন পদ্মার তীরবর্তী বসবাসকারী পরিবারগুলো।
বর্ষা এলেই পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে, আর সেই সঙ্গে তীরবর্তী মানুষদের মনে ফিরে আসে চিরচেনা আতঙ্ক—নদীভাঙন। বছরের পর বছর ধরে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে এখন রাত কাটছে ভাঙ্গন আতংকে । উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার যেন শেষ নেই তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের নুরুদ্দীন সরদার কান্দি, আব্দুল হামিদ জঙ্গির কান্দি, আলেফ সরদার কান্দি ও জব্বার শিকদার কান্দি—এই গ্রামগুলো ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী, ছলেনামা ও আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামের প্রায় ১১০টি পরিবার নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন পার করছে।
আকোটের চর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা মমতাজ বেগম বলেন , বর্ষা মৌসুম এলেই আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পানি বাড়লে ভাঙন আতংকে থাকি। সরকার আমাদের থাকার জায়গা দিয়েছে, এই ঘরবাড়িই এখন আমাদের শেষ সম্বল। এটাও হারালে আর কিছু থাকবে না।
এছারাও গত মঙ্গলবার রাতে প্রবল বৃষ্টি
হওয়ার কারনে ভাঙ্গন ঝুকি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পদ্মা পাড়ের মানুষ।
আকোটের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, নদীভাঙন এখন আর হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো দুর্যোগ নয়, এটি একটি বার্ষিক দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা বারবার জানিয়েছি। তারা এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সামছুল হাসান জানান, পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। আমরা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছি। খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।